
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে জনসমক্ষে খুন হন আরিফুল ইসলাম হিটলু। এ হত্যাকান্ডের ২৫দিন পেরিয়ে গেছে। অবশেষে মামলাটি ধুনট থানা থেকে বগুড়া অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালের দিকে এই মামলার তদন্তদকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিখুঁত তদন্তের স্বার্থে সিআইডি মামলাটি হস্তান্তর চায়। এ কারণে আইনী প্রক্রিয়া শেষে ২৮ এপ্রিল মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফুল ইসলাম হিটলুর (৩৮) পেশা ছিল জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসা। প্রতিবেশী আব্দুল মালেক ছিল তার অংশিদার। হিটলুর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে পেটানো, মাদক ও জুয়া আইনে ৮টি মামলা এবং আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে পুলিশ পেটানো ও মাদক দ্রব্য আইনে ২টি মামলা রয়েছে। জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কয়েক মাস আগে থেকে হিটলু ও মালেকের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’জন পৃথক ভাবে দল গঠন করে।
এ অবস্থায় আব্দুল মালেকের গ্রুপের নবাব আলীকে শবে বরাতের রাতে অপহরণের চেষ্টা করে হিটলু ও তার লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে তাদের বিরোধ আরো তুঙ্গে ওঠে। এদিকে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে হিটলু ও তার লোকজন আব্দুল মালেককে কুপিয়ে জখম করে। এতে হিটলুর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আব্দুল মালেক, নবাব আলী ও তার লোকজন। তাদের শতাধিক লোক সংঘবদ্ধ হয়ে রাত ৯টার দিকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বেড়েরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের রাস্তায় হিটলুকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত হিটলুর স্ত্রী শেফালী খাতুন বাদি হয়ে ১৯ এপ্রিল উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেড়েরবাড়ি গ্রামের নবাব আলী সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার আসামীদের আজও গ্রেফতার করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মামলার তদন্তভার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

