ধুনটে ১৭ বছর পর ধর্ষনে জন্ম নেয়া সন্তানের বাবা সনাক্ত

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধর্ষনের শিকার বাস্তুহারা এক নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া এক কন্যা সন্তানের পিতৃপরিচয় মিলেছে ১৭ বছর পর। উচ্চ আদালতের আদেশে ডিএনএ পরীক্ষার পর সন্তানের জন্মদাতা সনাক্ত হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের জয়শিং গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের মেয়ে মিলনা খাতুন। গত ২০০০ সালে মিলনার বাবার বসতভিটা বাঙ্গালী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এরপর মিলনা তার মায়ের সাথে স্থানীয় সোনাহাটা বাজার এলাকায় সরকারি রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করতে থাকে।

এ অবস্থায় ২০০১ সালে জয়শিং গ্রামের গমির উদ্দিন মন্ডলের বখাটে ছেলে মাহফুজার রহমান ঝুপড়ি ঘরে ঢুকে মিলনাকে ধর্ষন করে। এতে ধর্ষনের শিকার মিলনা খাতুন অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মিলনা খাতুন বাদী হয়ে মাহফুজারের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করে। তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলাটি বিচারাধিন থাকা অবস্থায় মিলনার গর্ভে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। তার নাম মাহমুদা খাতুন। বর্তমানে মাহমুদার বয়স ১৭ বছর। এদিকে ধর্ষন মামলায় প্রায় ৬ বছর আগে মাহফুজার রহমানের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হয়। দন্ডপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছে। এ অবস্থায় মাহফুজার রহমান সন্তানের দায় এড়াতে মাহমুদা খাতুনের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করে।

আদালতের আদেশে ৩০জুন ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে দীপংকর দত্ত নামে এক পরীক্ষক মাহফুজার, মিলনা ও তার মেয়ে মাহমুদার ডিএনএ পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় মাহফুজার রহমানের মেয়ে হিসেবে মাহমুদার পরিচয় মিলেছে। গত ৬ আগষ্ট দীপংকর দত্ত স্বাক্ষরিত ডিএনএ পরীক্ষায় প্রত্যয়নপত্রটি ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার ধুনট থানায় পৌছানো হয়।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তর থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্রের বিষয়টি মাহফুজার, মিলনা ও মাহমুদাকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে ফয়সালা হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ