নিউজ ডেস্ক.
বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নতুন প্রজন্ম বিজ্ঞান চর্চায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, সীমিত সম্পদ ও বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নতুন প্রজন্ম বিজ্ঞান চর্চায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করবেন।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যাশার কথা বলেন। ২৬ এপ্রিল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ৫০ বছর পূর্তি।
এ উপলক্ষে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ শক্তিশালী করে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের ১ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের জন্য ৫০ লাখ টাকা মঞ্জুর করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে মাথা উঁচু করে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজারে জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ বায়োটেকনোলজি, চট্টগ্রাম পরমাণু শক্তিকেন্দ্র, কক্সবাজার পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র ও একটি স্টিরিল ইনসেক্ট ইউনিট স্থাপনের পাশাপাশি জয়পুরহাটে ইনস্টিটিউট অব মাইনিং মিনারোলজি এন্ড মেটালার্জি শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালে ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর’ আইন পাশ করি। এর ফলে ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর’ বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ তৈরি ও ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থায়ী বিজ্ঞান প্রদর্শনী, ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনী, বিজ্ঞান বিষয়ক ফোর-ডি মুভি প্রদর্শনী, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ফিচার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করছে।
এসকল কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চা ও উদ্ভাবন চর্চার বিকাশ ঘটবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। সূত্র : বাসস