নন্দীগ্রামে আবু বক্কর মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন

ফিরোজ কামাল ফারুক, নন্দীগ্রাম.

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মাটি আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানকার কৃষকরা যেমন এনেছেন বৈচিত্র, তেমনি এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন নতুন প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি বিল্পবে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাল্টার বিপ্লব। আর এই বিপ্লবকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়েছেন ভাটরা ইউনিয়নের টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক ব্যবসায়ী। মালটা চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ২০১৭ সালে নিজ গ্রামে ৫৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলেন তার মাল্টা বাগান। এটাই এই উপজেলার সর্বপ্রথম মাল্টার বাগান বলে তার দাবি। তার বাগানে পাকিস্থানী জাতের ২৩৫ টি মাল্টা গাছ লাগানো হয়েছে। চারা রোপণের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। মাল্টা চাষ শুরু খেকেই কৃষি অফিস সব ধরনের সহযোগীতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে ২৫০ টি থাই পিয়ারা, ২২০ টি থাই লেবু, ২০টি আম গাছ, ৫ টি কমলা, ১২০০ টি লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। এক জমিতে বিভিন্ন জাতের নানা ফল চাষ করায় ব্যাপক সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সরজমিন উপজেলার টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাল্টা গাছের মাঝে মাঝে থাই পেয়ারার গাছ তার পাশে থাই লেবুর গাছগুলো। এ যেন এক মন ভরানো অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে টাকুরাই গ্রামে। এ যেন সবুজের বুকে অন্যরকম এক সবুজের হাতছানি। তার ফসলি জমিজুড়ে রয়েছে মাল্টা, পেয়ারা, লেবু, লিচু ও আম গাছ। তার এ মাল্টা চাষ দেখে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক ও কৃষকরা এ মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা: মশিদুল হক বলেন, ‘মাল্টা’ এউপজেলায় নতুন ফল হিসেবে চাষ হচ্ছে। আগামীতে এই ফলের চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগীতা করছি। আশা করা যায়, আম-লিচুর পাশাপাশি মাল্টার বাগানও দ্রুত বাড়বে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ