নাব্যতাহীন যমুনা নদীতে অসংখ্য চর


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

আবদুল জলিল , কাজীপুর থেকে.


সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার পূর্ব সিমান্ত দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় নদী বক্ষে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর-ডুবোচর। খেয়ালি এই নদীর গতিপথ বোঝা বড়ই দুস্কর।

    দিন দিন এর প্রশ্বস্ততা বাড়তে বাড়তে এখন ১৫ কিঃমিঃ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে। আর এ কারণে উজানের পানি বইতে গিয়ে যমুনা তার খেই হারিয়ে নানা শাখা-প্রশাখা, আর চর- ডুবোচরে নিজেকে প্রকাশ করছে। ভাঙছে ভরা বর্ষায় কিংবা পানিহীন গ্রীষ্মেও।

      এক কালের খরস্রোতে যমুনা শুস্ক মৌসুমে পানিহীন প্রাণহীন এক মরুভূমি। দিন বদলের সাথে সাথে যমুনায় এখন আর পাল তোলা নৌকা অথবা লঞ্চ-স্টীমার চলেনা বললেই চলে। বিশেষ করে গ্রীষ্মেতো বটেই। যমুনা এখন যেন মরুভূমি; ধু-ধু বালুচর। পালতোলা নৌকার বদলে এখন যমুনার বুকে চলাচল করে গরুর গাড়ী, ঘোড়ার গাড়ি, আর ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, লছিমন, করিমন অথবা ভটভটি। পানি কমার ফলে যমুনা নদীর ১০টি রুটে নৌ-চলাচল দারুনভাবে বিঘ্নিতা হচ্ছে।

        উপজেলার মেঘাই ঘাট থেকে প্রতিদিন নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, খাসরাজবাড়ী, চরগিরিশি, মনসুর নগর, তারাকান্দি, সিরাজগঞ্জ, সহড়াবাড়ী, রুপসার চরে শতাধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা যাতায়াত করতো। শুস্ক মৌসুমের শুরু থেকেই নদীর নাব্যতা কমে চর জেগে উঠায় নৌযান যাতায়াত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক বেশি পথ ঘুরে নৌকাগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে করে ইঞ্জিনের তেল খচর ও সময় দুটোই বেশি ব্যয় হচ্ছে। ফলে যাত্রী ভাড়া ও মালামাল পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে। এসব রুটে অন্য কোন যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা নৌযান চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

        তাছাড়া নদীর পানি কমে নৌকার ঘাট দূরে চলে যাওয়ায় যাত্রীদের দীর্ঘ বালুচর পায়ে হেটে নৌকায় চড়তে হচ্ছে। এক্ষেত্রে মালামালসহ মহিলা যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এখনও যমুনার পানি যেভাবে কমছে তাতে মেঘাই-নাটুয়ারপাড়া ঘাট থেকে চলাচলকারী সবগুলো রুটে নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে শতাধিক নৌকার মাঝি বেকার হয়ে পড়ার আশংকায় রয়েছে ।

        নাটুয়ারপাড়া ঘাট মালিক সমিতির সভাপতি ওমর আলী জানান, যমুনার পানি কমে যাওয়ায় আগে যেখানে নদী পার হতে পৌণে এক ঘন্টা লাগতো এখন প্রায় দুই-আড়াই ঘন্টা সময় লাগে। এতে করে দিনে একবারের বেশি কোন নৌকার সিরিয়াল পড়েনা। যাত্রীরাদেরও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এদিকে যমুনা সার কারখানা থেকে নদী পথে সার সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহনেও দেখা দিয়েছে নিশ্চয়তা। ঢেকুরিয়া বাজারের সার ডিলার হযরত আলী জানান, দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘাটে সারের নৌকা আনা যায়না। অনেক সময় মধ্য চরে নৌকা যুবোচরে আটকে যওয়ায় নৌকা ঘাটে পৌঁছাতে এক থেকে দেড়দিন অতিরিক্ত সময় লেগে যায়।
        মেঘাই ঘাটের ইজারাদার জানান, অনেক টাকায় মেঘাই-নাটুয়ারপাড়া ঘাটটি ইজারা নিয়েছি। যমুনা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ৩ কিলোমিটার দূরের নাটুয়ারপাড়া ঘাটে পৌঁছতে এখন ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। ফলে আগের চেয়ে নৌ চলাচল অনেক কমে গেছে। এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। যাত্রী ও মালামাল পরিবহনও কমে গেছে।

        অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ