নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন মামলার পেপারবুক হাইকোর্টে

নিউজ ডেস্ক.

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের পেপারবুক (মামলার সারসংক্ষেপ) সরকারি ছাপাখানা থেকে হাইকোর্টে এসেছে। মামলার শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আজ রবিবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পেপারবুক এসে পৌঁছায়।
হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, দুই মামলার পেপারবুক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছেছে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে ওই বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য যাবে ও কার্যতালিকায় আসবে।
দুটি মামলায় পেপারবুকের পৃষ্ঠাসংখ্যা ৬ হাজার। সঙ্গে রয়েছে ২ মামলায় দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ করে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি এ মামলা দ্রুত শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপার বুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে পেপার বুক প্রস্তুতের জন্য মামলার সব নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন মামলায় ২৬ আসামিকে ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন ২৩ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন র‌্যাবের সদস্য। মামলার শুরু থেকেই র‌্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। ৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ৬টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ