Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
রাজধানী ঢাকার পান্থপথে পুলিশের অভিযানে নিহত যুবক সাইফুল ইসলাম ছাত্রশিবির করতেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে তার বাবাকে নিয়ে খুলনার ডুমুরিয়া থানা পুলিশ এ অভিযান শুরু করে।
খুলনার ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, সাইফুল ইসলামের বাবা আবুল খয়েরকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ছেলে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়। এখন তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠি গ্রামের আবুল খয়েরের ছেলে। তিনি উপজেলার উলা মজিদিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল ও পরে খুলনা আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম পাস করেন। বর্তমানে তিনি খুলনার সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত ছিলেন। দু’ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়।
বড় বোনের নাম সাবিহা খাতুন ইরানি এবং ছোট বোন তামান্না খাতুন। তার বাবা আবুল খয়ের সাহস ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ।
ওসি জানান, সাইফুল ইসলাম খুলনার নেভি কলোনি থেকে সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পড়াশোনা করতো। সপ্তাহে সপ্তাহে নোয়াকাঠির বাড়িতে আসত। গত ৭ আগস্ট চাকরির কথা বলে সে খুলনা থেকে ঢাকায় যায়। যাওয়ার আগে সে নোয়াকাঠির বাড়ি ঘুরে গিয়েছিল। ঢাকায় যাওয়ার পর সর্বশেষ গত রোববার সাইফুল বাড়িতে যোগাযোগ করেছিল। সে সময় জানিয়েছিল সোমবার বাড়িতে আসছে। কিন্তু সোমবার বাড়িতে আসেনি। আজ মঙ্গলবার তার আত্মঘাতির সংবাদ পাওয়া যায়।
নোয়াকাঠির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আবুল খয়ের তার প্রতিবেশী। জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে নোয়াকাঠি মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের ইমামের পদ থেকে খয়েরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। এরপর খয়ের মাঠেরহাট জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। সাইফুল ইসলামের জঙ্গি সম্পৃক্তার খবরে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সাইফুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হোটেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যদের অভিযানে নিহত হন।