Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আবদুল জলিল. কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে
বর্ষা আসতে এখন বেশ ক’দিন বাকী। এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গন জনপদের মানুষ নৌকা ও লগি-বৈঠা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
কাজীপুর উপজেলার পূর্ব পাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদী আর পশ্চিম পাশ দিয়ে ইছামতি নদী। নদীর পাড়ের ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস করছে। তিন দশক আগে থেকে যমুনা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত ৩৫ বছরে রাক্ষুসী যমুনা গ্রাস করেছে ভাঙ্গন জনপদের প্রায় ১৫০টি গ্রাম। এরপর গত ১০ বছর আগে যমুনা নদীর পূর্ব পাশে চর জেগে উঠেছে। যা নতুন মাইজবাড়ী চর নামে পরিচিত।
অথৈ জলে ঘেরা মাইজবাড়ী চরে বসতি গড়তে শুরু করে। ইতোমধ্যে চরে প্রায় ১০০০ পরিবার বসতবাড়ি করেছে। চরবাসির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। বার বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব মানুষ গুলো পেশা পরিবর্র্তন করেছে। তাদের জন্য নৌকার প্রয়োজন। এছাড়া চর এলাকার মানুষ মূল ভূ-খন্ডের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নৌকার কোন বিকল্প নেই। নৌকা তাদের একমাত্র ভরসা।
ঢেকুরিয়া, মেঘাই, খাসরাজবাড়ী, রঘুনাথপুর, খুদবান্ধী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, চরগিরিশ, শালগ্রাম, চরছিন্না যমুনা নদীর ঘাট এলাকায় থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক নৌকা বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। প্রতিদিন ওই সকল ঘাট থেকে নৌকায় যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করছে। যমুনা পাড়ের মানুষের জীবন জীবিকার সাথে নৌকা জড়িত। এজন্য বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রতিবছর নৌকা তৈরী ও পুরাতন নৌকা মেরামত করে। একটি ছোট নৌকা তৈরী করতে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আর বড় নৌকা ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়।
পূর্বে মাঝি মাল্লার ছোট নৌকা গুলো লগি- বৈঠার সাহায্যে কিংবা পাল তুলে নদীর বুকে চলাচল করলেও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। সব নৌকাই শ্যালো ইঞ্জিনে ভর করে চলে। এগুলো দূরপাল্লার এবং পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে। নৌকা ছাড়া যমুনা ও ইছামতি পাড়ের মানুষের কোন গতি নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামে গ্রামে কারিগররা নৌকা তৈরী করছে। আর নৌকার মালিকরা নৌকা তৈরীর উপকরণ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। মানিকপটল গ্রামের নৌকা তৈরীর কারিগর (মিস্ত্রী) আয়নাল মন্ডল ধুনট বার্তাকে বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে নৌকা তৈরীর হিড়িক পড়ে যায়। একটি নৌকা তৈরী করেতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগে। নৌকার আকার ও প্রকার ভেদে মজুরী নেওয়া হয়। যমুনার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত মোখলেছুর রহমান জানায়, নৌকা ছাড়া জীবন-জীবিকা অচল। তাই বেঁচে থাকার জন্য নৌকা খুবই প্রয়োজন।