পত্নীতলায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

 

পরেশ টুডু, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি.



    পত্নীতলায় জমে উঠেছে এবারের ঈদের কেনাকাটা। বিপণি বিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মার্কেট গুলোতে কেনাবেচা জমে উঠছে। ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেটের দোকান গুলো ঠাসাঠাসি। তবে নারী ও শিশু ক্রেতার সংখ্যাই বেশী। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের উপহার কিনতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নিম্নবিত্তের খেটে খাওয়া মানুষরাও।

    রেডিমেট কাপড়ের দোকান গুলোয় ছেলে, মেয়ে ও শিশুদের জন্য এসেছে নানা নামের ও দামের পোষাক। নারী, শিশু এবং বিশেষ করে ফ্যাশন সচেতন তরুনীরাই এবারে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে পিছিয়ে নেই পুরুষ এবং তরুণরাও। তাদের পছন্দের পোষাক খুঁজে বের করে দিতে দোকানীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

    এবারের কেনাকাটায় তরুনীদের পছন্দের পোষাক এবার বাহুবলী-২, টিউব লাইট, ফ্লোর টার্চ, লাসা, লংস্কাট, শর্ট স্কাট, রাখী থ্রি পিচ, পাকিজা ড্রীম লন, এশিয়া থ্রি পিচ, ফেন্সি থ্রি পিচ, দোয়েল থ্রি পিচ, বাজিরাও মাস্তানি সহ বিভিন্ন নামের থ্রি-পিচ ও ফোর পিচ পোশাক। আকৃষ্ট করেছে দেশীয় পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানী, সিল্ক, খদ্দর, মনীপুরী, রাজগুরু, বালুচুরী, জর্জেট শাড়ি ইত্যাদি। তরুনদের রঙ্গিন পাঞ্জাবী, শার্ট, টি শার্ট, গেঞ্জী, জিন্স প্যান্ট, শর্ট প্যান্ট এবং শিশুদের রাখি-বন্ধন, পটল কুমার, বাজরাঙ্গি ভাইজান, তানসী ফ্রক সহ রকমারি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

    এবার ঈদে পত্নীতলায় নতুন আকর্ষণ মেয়েদের হাল ফ্যাশনের বাহুবলী-২ বিক্রি হচ্ছে ৬হাজার ৫শ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবাদে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস ১ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর শাড়ির দাম ৮শ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আছে। আর ছেলেদের পায়জামা-পাঞ্জাবি ১২শ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। শেরওয়ানি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।

    রেডিমেট পোষাক, শাড়ির দোকান, পাঞ্জাবীর দোকান, ছিট কাপড়ের দোকান, টেইলার্স, হকার্স মার্কেট, প্রসাধনী সহ জুতার দোকান সব জায়গাতেই আগের তুলনায় যেন ক্রেতাদের ভীড় বেড়েছে। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে না হলেও মানিয়ে নিয়ে চলছে এবারের ঈদের কেনাকাটা।

    এই ঈদে এসেছে বেশ কিছু নতুন নামের শাড়ি। টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানী, সিল্ক, খদ্দর, মনীপুরী, রাজগুরু, বালুচুরী, জর্জেট, সাজিয়া সাওয়ারী, আজিজা জামদানী, টিসু লোন শাড়ী, ব্লক শাড়ি, নাসা শাড়ী, কুচি জর্জেট, লেহেঙ্গা শাড়ী, জল নুপুর, রাশি, চন্দ্রি, কুমকুম, কুসুমদোলা সহ বাহারি নামের শাড়ি। আর ঢাকাই জামদানী, টাঙ্গাইল সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, জামদানী তসর সিল্ক, জর্জেট তো আছেই। এসব শাড়ি নাম ও প্রকার ভেদে মূল্য নির্ধারন করে রেখেছেন দোকানীরা। তবে এবারে দোকানীরা জানান গতবারের চেয়ে এবারে কাপড়ের দাম তুলনামূলক একটু বেশী। আর তাই এবারে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পছন্দের পোষাক ক্রয় করা একটু কষ্ট সাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে।

    প্রসাধণী ও জুতার দোকানেও শুরু হয়েছে ক্রেতাদের ভীড়। বিশেষ করে প্রসাধণীর দোকান গুলোতে মেয়েদের মেহেদী ও নানা রকম কসমেটিকস কেনার উপচে পড়া ভীড়। পাশাপাশি টুপি ও আতরের দোকানেও রয়েছে ক্রেতাদের ভীড়। টেইলার্স গুলোতে অর্ডার নেয়া প্রায় শেষের দিকে। তবে ডিপার্মেন্টাল ষ্টোর সহ মুদীর দোকান গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সহ সেমাই-চিনি, খেজুর, নুডলস কেনার ভীড় একটু বেশী লক্ষ করা গেছে।

    দরিদ্র মানুষের একমাত্র অবলম্বন হকার্স মার্কেট ও ছোট বিপনি বিতান গুলো। সকলেই তাদের সাধ্য অনুযায়ী ঈদকে সামনে রেখে পরিবারের জন্য বাজারে নেমে পড়েছে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ