ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরসভার নির্বাচনে ঘাসফুলের দাপট অব্যাহত। রাজ্যের সাতটি পুরসভার নির্বাচনের মধ্যে চারটি পুরসভায়ই জয় পেয়েছে রাজ্যটির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি তিনটিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-বিজেপি জোট প্রার্থীরা জয় পেয়েছে।
গত রবিবার দার্জিলিং জেলার দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিক, কালিম্পং জেলার কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পুজালি পুরসভায় ভোট হয়। বুধবার ছিল ভোটের গণনা। এর মধ্যে রায়গঞ্জ, ডোমকল, পুজালি ও মিরিক – এই চারটি পুরসভায়ই বিরোধীদের বিপর্যস্ত করে জয় ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।
রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ২৪টি, বাম-কংগ্রেস জোট দু’টি এবং বিজেপি একটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে। ডোমকল পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ১৮টি, বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীরা তিনটি আসনে জয়ী হয়। জয়ের পরই বাম-কংগ্রেস জোটের দুই জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেয়। অন্যদিকে পুজালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ১২, বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীরা একটি এবং বিজেপি দু’টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে।
তবে এবারের জয়ের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল দীর্ঘ তিন দশক পর পাহাড়ে জোড়া ফুল ফুটল। মিরিক পুরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছয়টিতে জয় পেয়ে পুরসভার ক্ষমতা মোর্চার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তিনটি আসনে জয় পেয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-বিজেপি। পাশাপাশি পাহাড়ের অন্য তিনটি পুরসভায়ও দীর্ঘদিন বাদে জয়ের খাতা খুলল সমতলের কোনো রাজনৈতিক দল।
পুরসভার নির্বাচনে ভালো ফলাফলের পরই দলের মহাসচিব ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যে উন্নয়ন করেছেন তাতে এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল। মানুষ যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতার ওপর আস্থা রেখেছেন তাতে আমরা আপ্লুত। এই জয়ের ফলে আগামী দিনে আরো বেশি করে মানুষের পাশে থাকার, মানুষের উন্নয়ন করার দায়িত্ব বেড়ে গেল।
নিউজ ডেস্ক. পাকিস্তানে ইসলামপন্থিদের বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত…
অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ