বগুড়ায় পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত

বগুড়া প্রতিনিধি.

আজ ১০মে সাড়া বিশ্বব্যাপি পালিত হচ্ছে ”বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পরিযায়ী পাখির ভবিষ্যৎই আমাদের ভবিষ্যৎ, পাখি ও মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য পৃথিবী চাই’। এ লক্ষ্যে বিবিসিএফ এবং সারা দেশে এর অঙ্গ সংগঠনগুলো যথাযথ গুরুত্বের সাথে এ দিবসটি পালন করছে। বিবিসিএফ অদ্য বগুড়ার সাতমাথায় সকাল ১১.৩০ টায় এক বর্নাঢ্য র‌্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে। বর্নাঢ্য র‌্যালি এবং আলোচনা সভায় বিবিসিএফ এর ওয়েস্ট, তীর, স্যানো, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটি, ওয়াইল্ডলাইফ লাভার এবং স্বপ্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মী উপস্থিত থেকে দিবসটি উৎযাপন করেন।
র‌্যালি শেষে বিবিসিএফ এর সভাপতি এস,এম, ইকবাল (পি এইচ.ডি),সহযোগী অধ্যাপক ও সভাপতি বিবিসিএফ বলেন- পরিযায়ী পাখিদের সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাডাতে ২০০৬ সাল থেকে এই দিবস পালন শুরু করা হয। বর্তমান বিশ্বের জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একারণে পরিযায়ী পাখিরা মারাত্মক খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থা দূরীকরণই এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য। পরিযায়ী পাখিদেরকে আগে অতিথি পাখি বলা হত। কিন্তু নিবিড় গবেষণায় দেখা গেছে যে এরা অতিথি নয়। বরং যে দেশে যায় সেখানে তারা ডিম পাড়ে এবং সেই ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বের হওয়া পর্যন্ত বাস করে। অর্থাৎ বৎসরের বেশ কয়েক মাস তারা ভিনদেশে বাস করে। বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া উত্তর গোলার্ধে পড়লেও এর অধিকাংশ অঞ্চলে শীতকালে তুষারপাত হয় না, তাই ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, সাইবেরিয়া ও চিন থেকে পরিযায়ী পাখিদের একটা অংশ এখানে আসে। কেবল তাই নয়, পশ্চিমের আরব ও আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জ থেকেও ঋতু পরিবর্তনের নানা সময়ে পাখিরা এখানে আসে । পরিযায়ী পাখিদের এই যাতায়াতের পথকে উড়ালপথ (Flyway) বলে।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘন উড়ালপথটি হচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়া থেকে সিনাইয়ের ওপর দিয়ে আফ্রিকা যাওয়ার পথ। পৃথিবীর প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখির মধ্যে ১৮৫৫ প্রজাতিই (প্রায় ১৯%) পরিযায়ী। বাংলাদেশের ৬৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, তার মধ্যে ৩০০ প্রজাতির পাখিই পরিযায়ী। এই পরিযায়ীদের মধ্যে আট প্রজাতির পাখি গ্রীষ্মে এ দেশে থাকে, শীতে চলে যায়। বাকি ২৯২ প্রজাতির পাখি শীতে এ দেশে থাকে অথবা তার আগে-পরে স্বল্প সময়ের জন্য আসে।
তিনি আরো বলেন, পাখি শিকার আইনত দন্ডীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখি শিকার করেন তাহলে তার সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাঃ মোঃ টিপু সুলতান উপদেষ্টা বিবিসিএফ, মোঃ জিয়াউর রহমান পরিচালক স্বপ্ন ও উপদেষ্টা বিবিসিএফ, ফজলে বারী রতন সভাপতি- বণ্যপ্রানী সংরক্ষণ কমিটি, বগুড়া ও সহসভাপতি বিবিসিএফ, মোঃ মাসুম মিয়া সভাপতি ওয়াইল্ডলাইফ লাভার ও সাধারন সম্পাদক বিবিসিএফ, এটিএম আহসান হাবীব তালুকদার রনজু সভাপতি স্যানো ও কোষাধক্ষ্য বিবিসিএফ, মো: মিজানুর রহমান সভাপতি তীর ও দপ্তর সম্পাদক বিবিসিএফ এবং সহকারী অধ্যাপক মো:খায়শেদ আলম সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ ও কোর্ডিনেটর ওয়েস্ট ।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ