বাংলাদেশে আসছেন সু চির মন্ত্রী


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি তার দফতর বিষয়কমন্ত্রী মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন।

    আগামীকাল সোমবার ভোরে ঢাকায় আসছেন তিনি।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জানান, টিন্ট সোয়ে সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গ। বিশেষ করে, তাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। সমস্যার উৎস যেহেতু মিয়ানমারে, সমাধানটাও মিয়ানমারকেই করতে হবে-এই বার্তা দেয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।

    এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সংকট চলাকালে রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশে আসছেন মিয়ানমারের কোনো মন্ত্রী।

    সু চির দফতর বিষয়কমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা আসছেন বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উ উইন মিত আয়ে।

    গত বৃহস্পতিবার নির্বাসিত বার্মিজদের ওয়েবসাইট ইরাবতী জানায়, মিত আয়ে রাখাইনের মংডু এলাকায় ‘যত দ্রুত সম্ভব’ রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন ও পুনর্বাসন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

    মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে গত ২৫ আগস্ট থেকে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

    তারা বলছেন, সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে। রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণএবং গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।

    মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই দমন অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনের’ চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

    রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। এমনকি সেখানে আইসিআরসি ছাড়া অন্য কোনো সংস্থাকে ত্রাণ দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।

    রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

    গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর যে সহিংসতা হয়েছে তা মধ্যাঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে এবং সেখানে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ