বিএনপির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে : কামরুল

নিউজ ডেস্ক.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিএনপির সহায়ক সরকারের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘কবি চন্দ্রাবতী ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘হাওর অঞ্চলের মানুষের আর্তনাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কৃষি সাংবাদিক ড. নিয়াজ উদ্দিন পাশার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচন হবে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, যারা মনে করছেন ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। ২০১৮ সালের শেষ দিকে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক।
বিএনপির ভিশন ২০৩০ এর সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রূপকল্প নিয়ে আসছেন জাতির সামনে। তারা স্ট্যান্টবাজির রাজনীতি শুরু করেছেন। এ রূপকল্প নতুন ধাপ্পাবাজি। তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র এখনও পাল্টায়নি।
এ রূপকল্প নিয়ে বিএনপির ভেতর বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে কামরুল বলেন, নিশিরাতে বৈঠক করেও একমত হতে পারলেন না। তাদের মধ্যে রূপকল্প নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির রূপকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করা হবে উল্লেখ করে কামরুল বলেন, বাংলাদেশ তো এখনই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সেখানে ২০৩০ সালে আবার কী! এসব ভেলকিবাজি ছাড়া আর কিছু না।
দেশে কোনো খাদ্য সংকট না থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্যের মজুদ বাড়াতে সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্য আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যমজুদ আছে বলেই আমরা হাওর অঞ্চলে সাহায্য করতে পারছি। সাহায্য করার মত খাদ্য মজুদ সরকারের কাছে আছে। বিচলিত হওয়ার কারণ নাই। জনগণকে চিন্তায় ফেলানোর জন্যে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজোয়ান আহমেদ তৌফিকের সভাপতিত্বে এবং রোকন উদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অপর্ণ খান, সাংবাদিক রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু, হামিদ মোহাম্মদ জসিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, মো. আজিজুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ