বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে, আশা সিইসির

নিউজ ডেস্ক.


আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

আজ শনিবার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।

শনিবার ঢাকা মহানগরীর ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রতি বিএনপির আস্থা রয়েছে এবং তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।’

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। পরবর্তী নির্বাচনে ওই প্রশ্নের সুরাহা এখনও হয়নি। তবে বিএনপি এবার নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি তুলেছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে অনীহ বিএনপি নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

চলতি বছরই সিইসির দায়িত্ব নেয়া নুরুল হুদা বলেন, ‘ইসির সংলাপে অংশ নেয়া মানেই তারা নির্বাচনেও অংশ নেবে, আমাদের কাজের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।’

রবিবার ইসির চলমান সংলাপে বিএনপি অংশ নেয়ার কথা জানালেও এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে সমালোচনাও করে যাচ্ছে বিএনপি।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সবগুলো রজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সুপারিশগুলো পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হবে। ইসির আওতায় আছে এমন প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে আমরা বিবেচনা করব। সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে কমিশন নিজেরা বসবে। তবে সব ধরনের সুপারিশ সংলাপে অংশ নেয়া দল ও সরকারের কাছে পাঠানো হবে।’

প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে নিবন্ধনসহ বাকি কার্যক্রম সশরীরে এসে করতে হবে। আর প্রবাসীরা যদি কেউ দেশে এসে ভোটার হতে চান, তাহলে তাদের দ্রুত ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কমিশন থেকে বিশেষ সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এদিকে নতুন ভোটাররা সহসাই স্মার্ট কার্ড পাবেন না বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট কার্ড পেতে আইরিশ ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের বিষয় রয়েছে। এর ডিভাইসগুলো বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। নানা জটিলতার কারণে তা হয়নি। আমরা আবার কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এটা সম্পন্ন হলে সকলেই স্মার্ট কার্ড পাবে। আগে হোক পরে হোক দেশের সব নাগরিককেই স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে।’

তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢাকার বাড়ি বাড়ি যাওয়া হয়নি এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন। তবে অনেককে হয়তো বাড়িতে পাননি। আমাদের প্রচারের কোনো ঘাটতি ছিল না।’

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিবন্ধন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। জানা যায়, রাজধানীতে মোট ১২৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ