বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারকের আপিল বেঞ্চের বিচারিক কর্যক্রম শুরু হয়।

    দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী এই কোর্ট চলবে সকাল ১০টা পর্যন্ত। বেঞ্চের অপর বিচারকরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

    দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত এই আদালতের কার্যক্রম চলবে।

    এক মাস অবকাশকালীন ছুটি শেষে আজ সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত আদালত বসছে। প্রথা অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সকাল ১০টায় আইনজীবীদের সৌজন্যে সাক্ষাতে মিলিত হওয়ার কথা। এর আগে গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটির আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতেই আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে আগামী ৩ অক্টোবর (আজ) ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন ছুটি মঞ্জুরের বিষয়ে সানুগ্রহ অনুমোদন প্রদান করেছেন। মাননীয় প্রধান বিচারপতির অসুস্থতাজনিত ছুটি ভোগকালীন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দিয়েছেন।’

    ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এস কে সিনহা। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে তার মতপার্থক্য দেখা দেয়। নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণ বিধির গেজেট, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠে। সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্যও দেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।

    প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে চলে যায়। ওই মূল রায়টি লেখেন প্রধান বিচারপতি। তিনি রায়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র-সমাজ, রাজনীতি, নির্বাচন কমিশন, সংসদ সামরিক শাসনসহ নানা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। একই সঙ্গে অভিযোগ উঠে রায়ে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খাটো করেছেন। রায়ের পর প্রধান বিচারপতি সরকারি দলের সমালোচনার মুখে পড়েন। এ সময় প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও ওঠে।

    জাতীয় সংসদেও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন এমপিরা। একই সঙ্গে এই দাবিও ওঠে যে, চলতি অবকাশের পূর্বে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে।

    বিচারপতি সিনহার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু সমালোচনার মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি এরই মধ্যে এক মাসের ছুটি নিলেন।

    সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরুর আগে গত ২৪ অগাস্ট শেষ অফিস করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ