Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
ক্রীড়া ডেস্ক.
এবারের বিপিএলে প্রথম একাদশে পাঁচজন করে বিদেশী খেলানোর নিয়ম নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
কারণ দলে পাঁচজন করে বিদেশী খেলানোর কারণে দেশি ব্যাটসনম্যানরা পারছেন না বিদেশীদের সাথে পেরে উঠতে। একেতো সুযোগ পাচ্ছেন না তার উপর সুযোগ পেলেও সেটাকে কাজে লাগাতে পারছেননা। বিদেশিদের সাথে দেশি ব্যাটসম্যানরা পেরে না উঠলেও বোলাররা ঠিকই নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে গত বুধবার। যেখানে শীর্ষে থেকে ঢাকায় ফিরছে কুল্লিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে তলানিতে থাকা চিটাগাং ভাইকিংসের আসরে টিকে থাকার স্বপ্ন প্রায় শেষ।
এরই মধ্যে কুমিল্লা এবং রংপুর ছাড়া বাকি পাঁচ দল খেলে ফেলেছে ১০ টি করে ম্যাচ। আর এই ম্যাচ শেষে এখন পর্যন্ত লিগের সর্বোচ্চ রানের অধিকারী রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা ।
আর সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক খুলনা টাইটান্সের আবু জায়েদ।
এবারের বিপিএলে রান তুলতে বিদেশিদেরই আধিক্য চোখে পড়েছে। সবার ওপরে থাকা ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বোপারা ৯ ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি সহ ৩২২ রান করেছেন। শীর্ষ পাঁচে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আছেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি আছেন চার নম্বরে। ৯ ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরিতে তার রান ২৬৩।
এছাড়া দুই, তিন ও পাঁচ নম্বরে রয়েছেন যথাক্রমে ঢাকা ডাইনামাইটসের এভিন লুইস, চিটাগাং ভাইকিংসের লুক রঞ্চি ও সিলেট সিক্সার্সের আন্দ্রে ফ্লেচার। ঢাকা ডাইনামাইটসের লুাসি করেন ৩২০ রান।
লুক রঞ্চির সংড়্রহ ২৭৩ রান। এছাড়া আন্দ্রে ফ্লেচারের সংগ্রহ ২৬০ রান। এছাড়া দেশিদের মধ্যে ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিথুন ও তামিম ইকবাল শীর্ষ দশে রয়েছেন। রান তোলার দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ জনের মধ্যে না থাকলেও দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোটামোটি ধারাবাহিক রয়েছেন ইমরুল কায়েস।
অপরদিকে বল হাতে উইকেট দখল করার কৃতিত্বে অবশ্য দেশিরাই এখন পর্যন্ত দাপট অব্যাহত রেখেছে। যেখানে শীর্ষ পাঁচে নেই কোনো বিদেশি। তারকা বোলারদের পেছনে ফেলে খুলনার আবু জায়েদ ৯ ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে। সমান ম্যাচ খেলা অন্য বোলারদের মধ্যে ঢাকা ডাইনামাইটসের সাকিব আল হাসান ১৩ উইকেট নিয়ে রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে।
চিটাগাং ভাইকিংসের তাসকিন আহমেদও নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে ১২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা ডাইনামাইটসের আবু হায়দার রনি। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তার সংগ্রহে রয়েছে ১২টি উইকেট। বিদেশিদের মধ্যে ঢাকার শহীদ আফ্রিদি অবশ্য পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে আছেন।
১০ উইকেট নিয়ে ঠিক দশে আছেন চলতি মৌসুমে ব্যাটে–বলে দুর্দান্ত খেলা রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিপিএল একেবারে শেষের দিকে। আর কটি ম্যাচের পরই শেষ হয়ে যাবে এবারের বিপিএল। কিন্তু এবারের বিপিএলে যাদের নিয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল সে দেশি ক্রিকেটাররা পারেননি নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে।
বিশেষ করে সাকিব, মুশফিক, সৌম্য সরকার, সাব্বির, নাসিরদের ব্যাট হাসেনি মোটেও। তবে খুব বেশি খেলার সুযোগ না পেলেও তরুণ কিছু ক্রিকেটার নিজেদের প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন এসব তরুণ।
আর কদিন পর শেষ হয়ে যাবে বিপিএলের এবারের আসর। কিন্তু জাতীয় দলেল হয়ে খেলা ক্রিকেটাররা পায়নি তাদের ছন্দ।