ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

নিউজ ডেস্ক.

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার আদালত।
আজ রবিবার দুপুরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন বলেন, হাইকোর্টের রায় ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে ওই দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে গত বৃহস্পতিবার ওই রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তিনটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ ও ২০১২ সালে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টে একসঙ্গে ওই রায় আসে।
ওই রায় স্থগিতের জন্য আজ রবিবার চেম্বার আদালতে আবেদন করার পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেছিলেন, ‘আসলে ২০০৯ সালে আইনটি হওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যকারিতায় সমাজে এক ধরনের ডিমান্ড তৈরি হয়েছে। ভেজাল, নকলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে মানুষের এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া বাল্যবিবাহ রোধ, নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভূমিকা ইতিবাচক। ফলে জনস্বার্থ বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘সামনেই রোজা, এরপর ঈদ। বরাবরই রোজা, ঈদ সামনে রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত সারাদেশে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এখন যদি ভ্রাম্যমাণ আদালতের এসব অভিযান না থাকে তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে, ভুগতে হবে জনগণকে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ