
বয়সটা ৫০ ছুই ছুই করছে মেরিনার। এক কন্যা সন্তানের জননী তিনি। স্বামীর বাড়িতে নিজের একটা সাজানো সংসার ছিলো তার। এখন সেটা দুঃস্বপ্ন। স্বামী পরিত্যাক্তা মেরিনা খাতুনের ভাগ্যচক্র তাকে ফিরে এনেছে আনারপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে। সেখানে আশ্রয়ের একটি ঘর এখন তার পৃথিবী। একমাত্র কন্যা সন্তানকে বিবাহ দেবার পর তিনি এখন একা। ডায়াবেটিকসের ঘুনে পোকা দিনে দিনে কেড়ে নিয়েছে তার দৃষ্টি শক্তি। প্রায় ৫ বছর যাবত অন্ধকার পৃথিবীতে দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে চলে যার জীবন, তার কাছে রং, আলো, ঈদ আর আনন্দ; সব যেনো ফ্যাকাসে।
মেরিনা খাতুনকে স্বপ্ন যুগিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠন ‘স্বপ্নসেবা’। তার চোখের দৃষ্টি ফেরাতে চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। মেরিনা খাতুনের মত সমাজের দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদের নানা সংকট মোকাবেলায় দীর্ঘ দিন যাবতন কাজ করছে স্বপ্নসেবা। সমাজের প্রতিবন্ধি মানুষের মাঝে প্রতিবছর ন্যায় এবারও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির উদ্যোগ নিয়েছে এ সংগঠন। মেরিনা খাতুনের মত সমাজের ৪৫জন প্রতিবন্ধির হাতে তুলে দিয়েছেন শাড়ি, লুঙ্গীসহ ঈদ সামগ্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন স্বপ্নসেবা সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

স্বপ্নসেবা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইছামতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ফয়জুল করিম খালিদ, ধুনট সরকারি নইমউদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ টেলিকমের পরিচালক মাসুদ রানা, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, ফজলে রাব্বী, সাংবাদিক বাবুল ইসলাম, স্বপ্নসেবা সংগঠনের সদস্য রাসেল, শাহীন, সজিব, মুরাদ ও সাদিক।

