Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২২ থেকে ২৩ জন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে রসিক নির্বাচন-২০১৭ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যা প্রয়োজন সেটাই করা হবে। নির্বাচনে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার হলে প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নজরদারি করছে। নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কালো টাকা ব্যবহারের তথ্য পেলে প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিইসি বলেন, একটি কেন্দ্রে ডিভিএম (ডিজিটাল ভোটিং মেশিন) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে। ভোটার যদি চান তা হলেই ডিভিএম মেশিনে ভোট নেওয়া হবে। এ ছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে একজন মেয়র প্রার্থীর একটি করে নির্বাচনী অফিস রয়েছে। সিটি করপোরেশনকে ৬টি প্রশাসনিক থানায় বিভক্ত করে ৬টি নির্বাচনী অফিস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে মেয়র প্রার্থীদের।
এর আগে সিইসি রসিক নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তারা।
বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতমিনিময় করবেন।