রাজশাহীতেই বিয়ে করলেন প্রয়াত মডেল রাউধার বাবা


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

 

রাজশাহী প্রতিনিধি.


    রাজশাহীতে পড়তে আসা মালদ্বীপের মডেল রাউধার মৃত্যুর আড়াই মাস পর বিয়ে করলেন তাঁর চিকিৎসক বাবা মোহাম্মদ আতিফ।

    গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী আইনজীবী ভবনে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দেন-মোহরানায় বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের কাবিনে মোহাম্মদ আতিফ স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে মালদ্বীপের ঠিকানা এবং অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে নগরীর উপরভদ্রা এলাকার ভাড়া বাসাকে ব্যবহার করেছেন। আগামী রোববার আতিফ ও তাঁর নতুন স্ত্রী আদালতে হাজির হয়ে পরস্পরকে বিয়ে করার মতামত জানাবেন।

    নোটারি পাবলিক অ্যাডভোকেট নুরুন্নাহার লাবলি রত্মা জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়া গ্রামের বদিউজ্জামানের মেয়ে কনকলতাকে (৩০) বিয়ে করেছেন মোহাম্মদ আতিফ। উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। কনকলতার ৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর আগে তাঁর চিকিৎসক স্বামী জয়নাল আবেদীন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অন্যদিকে মালদ্বীপের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে আতিফ দাবি করেছেন। বিয়ের সময় কনকলতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও আতিফের পরিবারের কেউ ছিলেন না।

    রাজশাহী আইনজীবী ভবনে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা মোহাম্মদ আতিফকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার প্যারামেডিকেল কলেজের সামনে তাঁর স্ত্রীর ভাড়া বাড়িতে উঠিয়ে দেন। সেখানেই তিনি থাকবেন। কনকলতা ও তাঁর বোন রত্না ওই বাসাতে থাকেন।

    রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, মোহাম্মদ আতিফ বিদেশি নাগরিক হলেও বাংলাদেশে বিয়ে করতে তাঁর আইনগত কোনো বাধা নেই। এরপরও তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে বিয়ের বিষয়টি জানিয়েছেন।

    গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। প্রথম দফা ময়নাতদন্তে রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দেয়। রাউধাকে নগরীর হেতেম খাঁ কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে পরে তাঁর বাবা মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে রাউধার লাশ ওঠানো হয়। তিন সদস্যের নতুন একটি মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে। ঢাকা থেকে ভিসেরা রিপোর্ট না আসায় মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো জমা দেয়নি। দুই দফা তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর রাউধার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলা বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাউধা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরদিন রাজশাহীতে আসেন তাঁর বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ। এর পর থেকে তিনি রাজশাহীতেই রয়েছেন।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ