রোহিঙ্গাদের অভিযোগ মিথ্যা: মিয়ানমার সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্ক.

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ বা নির্যাতনের অভিযোগকে মিথ্যা ও ভ্রান্ত বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গাদের ওপর গুরুতর নির্যাতনের বিষয়ে নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা শেষে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করে তারা।
গত বছর রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের অনেকেই বার্মিজ সেনাদের হাতে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে কক্সবাজার সফর করেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা ইয়াংহি লি। বার্মিজ সেনাদের দ্বারা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নারীদের ব্যাপকহারে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শত শত রোহিঙ্গা নাগরিকের বক্তব্য শোনার পর বার্মার সেনাবাহিনী গত ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।
যদিও বার্মার সেনাবাহিনীর তদন্তকারী দল বাংলাদেশে যায়নি; কিন্তু তাদের দাবি, প্রায় তিন হাজার গ্রামবাসীর সাথে কথা বলেছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের করা ধর্ষণ ও হত্যার সব ধরনের অভিযোগ ছিল অসত্য। সেই সাথে তারা উল্লেখ করেছে, কেবলমাত্র দুটো ঘটনার ক্ষেত্রে সৈন্যরা অসদাচরণ করেছে।
কিন্তু সেসময় রাখাইন রাজ্যের আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রাম ও মানুষের মৃতদেহের যে ভয়াল ছবি এবং নারীদের বয়ানে যে চিত্র উঠে এসেছে, তার প্রেক্ষিতে এই তদন্ত দলের পর্যবেক্ষণ মেলানো বেশ কঠিন।
ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত দল পাঠানোর প্রচেষ্টাও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির বাধার কারণে আটকে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ