নিউজ ডেস্ক.
গ্রিনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডনের মেট পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আহত ৫০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেট পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বিবিসিকে হতাহতের সংখ্যাটি জানান।
আহতদেরকে লন্ডনের পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গ্রিনফেল টাওয়ারে আগুন নেভানোর জন্য কাজ করছে ৪০ টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ২০০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী।
নর্থ কেনসিংটনের এই বহুতল ভবনে আগুন লাগার পর আটকা পড়া বাসিন্দাদের বাঁচার আকুতি ও সাহায্য চাওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভবনের বাসিন্দারা কীভাবে তাদের শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন, সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন অনেকে।
অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা অধিকাংশ বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছেন। কিন্তু লন্ডন মেয়র সাদিক খান বলেছেন, এখনো অনেক লোকে হিসাব পাওয়া যায়নি।
২৭ তলাবিশিষ্টি এই আবাসিক ভবনে এখনো আগুন জ্বলছে। সারা রাত দাউ দাউ করেছে জ্বলছে ভবনটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতে তারা আলো দেখেছেন- সম্ভবত টর্চ বা মোবাইল ফোনের আলো- টাওয়ারের শেষতলায় আলোগুলো জ্বলছি। অনেকে জানালার কাছে ছিল, কারো কারো হাতে তাদের ছোট ছোট সন্তান ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যরাতে যখন এই ভবনে আগুন ধরে যায়, তখন সেখানে কয়েক শ লোক ছিল। অধিকাংশই ছিল ঘুমে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ট কানডি বলেছেন, এই সময়ে আমি ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পারি। কিন্তু আগামী কয়েক দিনের জটিল এই উদ্ধারাভিযানে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এত অল্প সময়ে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান কমান্ডার স্টুয়ার্ট কানডি। এদিকে, লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন লাগা এই ভবনের ২০টি তলায় ১২০টি আবাসিক ফ্লাট রয়েছে।