লালমনিরহাটে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ও বিবাহিতদের নিয়ে চলছে ছাত্রলীগ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

লালমনিরহাট প্রতিনিধি.


লালমনিরহাট জেলায় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অধিকাংশ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলের কারণে নতুন কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তৈরি হচ্ছে না নতুন নেতৃত্ব। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন ছাত্রলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

    লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে ২০১৫ সালে। ওই কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সম্পাদক জাভেদ হোসেন বক্কর দু’জনেই ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ও ছাত্রত্ব থাকলেও তাদের আওতাধীন কমিটিগুলোর নেতৃত্বে যারা আছেন অধিকাংশই বিবাহিত ও চাকরিজীবী, তাদের ছাত্রত্ব নেই।

    অথচ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কমিটিগুলোর মেয়াদ হবে এক বছর এবং কোনোক্রমে বিবাহিত ও ছাত্রত্ব নেই এমন কেউ স্থান পাবেন না।

    কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ জুলাইয়ের মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলা, পাটগ্রাম পৌরসভা ও পাটগ্রাম সরকারি কলেজ এবং ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা ও সদর পৌরসভা কমিটি গঠনের নির্দেশ থাকলেও একটি কমিটিও গঠন হয়নি।

    ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাঁচটি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ। সাতটি কমিটির মধ্যে ছয়টি কমিটিই মেয়াদ উত্তীর্ণ। পাটগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে ২০১৩ সালে। ওই কমিটির সভাপতি আকতারুল ইসলাম সুমন ও সম্পাদক সাঈদ উর রহমান স্বপন দু’জনেই ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত।

    পাটগ্রাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি দেবাশীষ কুমার রায় ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব আছেন মিল্লাত হোসেন। দু’জনেই অবিবাহিত হলেও ওই কমিটি হয়েছে ছয় বছর আগে, ২০১২ সালে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের কারণেই ওই দুই ইউনিট কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া, ওই উপজেলায় ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বও চোখে পড়ার মতো।

    হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান মামুন ও সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার জিহান অবিবাহিত হলেও তাদের সম্মেলন হয়েছে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি। কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে ২০১৩ সালে। ওই কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ ও সম্পাদক আনিছুর রহমান দু’জনেই বিবাহিত ও চাকরিজীবী।

    আদিতমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছে ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ওই কমিটির সভাপতি কামাল সরকার বিবাহিত ও শিক্ষক। তবে সম্পাদক মাইদুল ইসলাম দাবি করেছেন তিনি অবিবাহিত।

    সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে চলতি বছর। ওই কমিটির সভাপতি এনামুল হক সাঈদ ও সম্পাদক লুৎফর রহমান আরঙ্গ দু’জনেই অবিবাহিত এবং তাদের ছাত্রত্ব আছে। তবে সদর পৌরসভা কমিটির সভাপতি আসাদ লিমনের বে-সরকারি কোম্পানিতে চাকরি হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে আছেন শরিফ আহেম্মদ মোহন ও সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পাপু। তারা দু’জনেই অবিবাহিত হলেও তাদের সম্মেলন হয়েছে ছয় বছর আগে, ২০১২ সালে।

    এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক জাবেদ হোসেন বক্কর বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতি মুহূর্তে আমরা জেলা ছাত্রলীগকে গতিশীল করার চেষ্টা করেছি। ছাত্রলীগে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোনো কোনো উপজেলায় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে বা স্থানীয় আওয়ামী লীগ সময় না দেয়ায় কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা আগামী অক্টোবরে নতুন কমিটি গঠনের চেষ্টা করছি।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ