লালমনিরহাটে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করনের দাবীতে অনশন ধর্মঘট

লালমনিরহাট প্রতিনিধি.

বে-সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের ৫%বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পুর্নাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করনের দাবীতে অনশন ধর্মঘট পালিত হয়েছে। বুধবার জেলার প্রানকেন্দ্র মিশনমোড় গোল চত্বরে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) লালমনিরহাট জেলার শাখার আয়োজনে এ অনশন ধর্মঘট পালিত হয়। অনশন চলাকালীন দুপুরের পর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান শিক্ষকদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) লালমনিরহাট জেলার শাখার সভাপতি খুরশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) লালমনিরহাট জেলার শাখার সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ, লালমনিরহাট সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি খায়রুজ্জামান বাদল, হাতিবান্ধা উপজেলা কমিটির সভাপতি মজিবর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষকবৃন্দ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা শিক্ষকগন নাকি মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ সেই শিক্ষকদের প্রতি বর্তমান সরকারের কোন নজর নেই। আমরা যারা মাধ্যমিক বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করে আসছি। সেই শিক্ষকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তাদের এমপিও ভুক্তসহ বে-সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের ৫%বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পুর্নাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবী জানান।
তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের দাবী মানতে বেশ কিছুদিন ধরে ১ দিনের কর্মবিরতি পালন ও দাবীসমূহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময়, বৈশাখী উৎসবে ভাতা না দেয়ায় কালোব্যাজ ধারন ও প্রত্যেক জেলা সদরে প্রতীকি অনশন পালন করলেও সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এর পরেও আগামী ১৪ মে তারিখের মধ্যে তাদের দাবী মানা না হলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকী প্রদান করা হয়।
অনশন চলাকালীন দুপুরের পর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান শিক্ষকদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গেন এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাদের দাবীসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট উথ্থাপন করে তাদের দাবী আদায়ে অনুরোধ জানাবেন বলে অঙ্গিকার করেন।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ