Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে কানে শোনার স্বাদ পেয়েছে শত শত দরিদ্র বধির শিশু। স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে এ সকল শিশু। এই প্রকল্পের অধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বিনামূল্যে এ পর্যন্ত ২৯৩ জন বধিরকে চিকিৎসা দিয়েছে। শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া এসব রোগীর অধিকাংশই শিশু। চিকিৎসা নেয়ার পর অধিকাংশ শিশুই প্রথমবারের মত তাদের বাবা-মার কণ্ঠস্বর শুনতে পায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শ্রবণস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বেল্টন জানায়, ৭০ ভাগ বধির মানুষের ক্ষেত্রে সমস্যার প্রকটতা ‘মৃদু থেকে মাঝারি’ ধরনের হয়। অন্যদিকে ৩০ ভাগের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি আরো ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে। সাধারণত উচ্চ শব্দের মধ্যে কথা বললে যারা শুনতে পায় না, তাদের ‘মৃদু’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। আর উচ্চ শব্দের মধ্যে কিছুটা উচ্চস্বরে কথা বললেও যারা শুনতে পায় না, তাদের ‘মাঝারি’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। অন্যদিকে উচ্চ শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হলেও যারা শুনতে পায় না, তাদের ‘গুরুতর’ পর্যায়ে ফেলা হয়।
বিএসএমএমইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, গুরুতর শ্রবণ সমস্যা নিয়ে জন্মানো দরিদ্রদের, বিশেষত শ্রবণ সমস্যা নিয়ে জন্মানো দরিদ্র শিশুদের আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে সমাজকল্যাণ বিভাগের অর্থায়নে বিনামূল্যে চলছে এই চিকিৎসা কার্যক্রম। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোহেলার ইমপ্ল্যান্টের (সিআই) মাধ্যমে ১৪১ জনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। এ ছাড়াও শ্রবণ শক্তি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ১৫২ জনের সার্জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু গত এক সপ্তাহে আমরা ৭২ শিশুকে বিনামূল্যে সিআই প্রদান করেছি যার বাজার মূল্য সাত কোটি ২০ লাখ টাকা। যে কোন ধরনের সিআই দিতে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এখন এখানে বিনামূল্যে সেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কোহেলার ইমপ্ল্যান্টের (সিআই) আরেক নাম বায়োনিক এয়ার বা বায়োনিক কান। এটি মূলত একটি যন্ত্র যা শব্দ শক্তিকে মস্তিষ্কের উপযোগী বৈদ্যুতিক সিগনালে পরিণত করে। বিএসএমএমইউ-এর পাশাপাশি এই প্রকল্পের অধিনে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইএনটি হাসপাতাল এবং সোসাইটি ফর অ্যাসিস্ট্যান্ট টু হেয়ারিং ইমপেয়ারড চিলড্রেন হাসপাতালে এই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে, গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের হাম, মামস হলে বা রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অথবা বিশেষ কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে শিশু এই ধরনের জেনেটিক ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে।
বধির শিশুর জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম সিআই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২ থেকে ৫ বছর বয়স এই চিকিৎসা নেয়ার সর্বোত্তম সময়। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও’র) মতে, বাংলাদেশের ১৬ লাখ মানুষ শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত। প্রতি বছর এই দেশে বধির হয়ে জন্ম নিচ্ছে ২ হাজার ৬০০ শিশু।