শেখ হাসিনা নয়, নির্বাচন হবে ইসির অধীনে

• Share on Facebook
• Tweet it
• Pin it
• Share it
• Email

নিউজ ডেস্ক.

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন তো শেখ হাসিনার অধীনে হচ্ছে না। নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সরকারি কর্মচারী সমিতির কাউন্সিল অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচন ছিল না। ৩০ মার্চ জনরোষে তারা ক্ষমতা ছেড়েছিল। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর সেই নির্বাচন তো শেখ হাসিনার অধীনে হচ্ছে না। নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। নির্বাচন চলাকালীন সকল প্রশাসন থাকবে নির্বাচন কমিশনের।

বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’ সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ভিশনে কিছু নেই। সাম্প্রদায়িকতার কোনো কথাই নেই। তার মানে, দেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদীদের পৃষ্টপোষকতা করছে বিএনপি। এই ভিশনের মাধ্যমে এটাই তারা প্রমাণ করে দিয়েছে।

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের প্রস্তাবে বিএনপির বিরোধিতার কথা তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপি যেকোনো ভালো প্রস্তাবই মানতে নারাজ। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে কি না সেটা দেখবে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মতামত জানতে চাইলে আমরা আমাদের মতামত দেব।

তিনি বলেন, আমরা সরকারি দল মনে করি ইভিএম পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। তাই এই পদ্ধতি নিঃস্বন্দেহে ভালো। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটগ্রহণ নির্ভুল হবে। আমরা ইভিএম এ ভোটগ্রহণকে সমর্থন করি।

বিএনপি ২০০১ সালেও ‘ভিশন’ দিয়েছিল- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব মনে করিয়ে দিয়েছেন, তারা ২০০১ সালেও ভিশন দিয়েছিলেন। আমি বলতে চাই, আপনাদের ওই ভিশন ছিল আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হাওয়া ভবন ভিশন। যে ভিশনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ এসব ভুলে যায়নি।

সরকারি কর্মচারী সমিতির এই সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।