শেরপুর (বগুড়া) প্রনিধি.
বগুড়ার শেরপুরে এক কিশোরীর ইজ্জতের মুল্য ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করলো গ্রাম্য মাতবররা। উপজেলার জামালপুর গ্রামে এক কিশোরীকে অপহরনের পর ধর্ষনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে গ্রাম্যশালিশী বৈঠকে লম্পট ধর্ষক বাদলের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানাযায়,উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ১৪ বছরের এক কিশোরী মেয়ে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে বের হয়। পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের মোঃ হেলাল উদ্দিনের ছেলে বাদল (২২) সুযোগ বুঝে ওই কিশোরীর গলায় চাকু ধরে মুখ বেধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ওই অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষক বাদল। পরে পরিবারের লোকজন কিশোরীকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে ওই রাতের ১০ টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
পরের দিন রোববার তার পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানালে ধর্ষিতার পিতা বিষয়টি গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচারের চায়। সে অনুযায়ী গ্রাম্য মাতব্বর বাছের উদ্দিন, শাজাহান আলী ও সুলতান মাহমুদ আদালতের আদেশ অমান্য করে এবং শেরপুর থানা পুলিশকে না জানিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে গ্রাম্য শালিশী বৈঠকে ধর্ষকের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বাবা মোঃ হামিদ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ শালিশী বৈঠকে মাতব্বররা ৭০হাজার টাকা জরিমানা করলেও আমাকে ৫০হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে ১৫ দিনের সময় নিয়েছে।
ধর্ষকের বাবা হেলালের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আমার ছেলের অপকর্মের ফলে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ২০হাজার টাকা দিয়েছি আর ৫০ হাজার টাকা ১৫দিনের সময় নিয়েছি।
অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এ ব্যাপারে আমার করার কিছু নেই।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি এবং আমাকে জানায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

