Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি.
বগুড়ার শেরপুরে জেডিসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ড নির্ধারিত ১শ ৫০ টাকার স্থলে তারা ২শ ১০ টাকা করছেন বলে ছাত্র-ছাত্রী ও মাদ্ররাসার প্রধানরা অভিযোগ করেছেন।
প্রাপ্ততথ্যে জানা যায়, ধনকুন্ডি দাখিল মাদ্ররাসা কেন্দ্রে উপজেলার ১৪ টি মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা এবারের জেডিসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি মাদরাসার সুপারের নিকট ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী মাদরাসার প্রধানরাও ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে বোর্ড নির্ধারিত ১শ ৫০ টাকা আদায় করেছেন। কিন্ত হঠাৎ করেই পরীক্ষার কেন্দ্র সচীব প্রতিটি প্রবেশ পত্র বাবদ প্রতিষ্টানের প্রধানদের নিকট থেকে অতিরিক্ত আরো ৬০ টাকা করে দাবী করছেন।
তিনি সুপারদের জানিয়ে দিয়েছেন এবং চাপ প্রয়োগ করছেন এই বলে যে, আজকের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ না করলে না করলে অসুবিধা হবে। এই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্টানের প্রধানরা, কেননা তারা ইতিমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে টাকা তুলেছেন এখন আরো টাকা চাইলে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হবে ভেবে কেউ কেউ নিজ পকেটে থেকে এই অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করছেন। আবার অনেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে উত্তোলন করছেন। তবে সবচেয়ে বিপাকে পরেছেন ওই প্রতিষ্টানের প্রধানরা যাদের এখনো বিল বেতন হয়নি। কেননা তারা যেমন নিজ পকেট থেকে দিতেও পারছেননা আবার ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকেও তুলতে পারছেননা। তাদের দুদিকেই অসুবিধা। তাছাড়া ওই কেন্দ্রে প্রতিটি পরীক্ষায় খরচের নামে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের অভিযোগ অনেক পুরনো।
এ ব্যাপারে কল্যানী দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিও ভুক্ত হয়নি। তাই আমরা বোর্ড নির্ধারিত টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে উত্তোলন করেছি। এখন ওই অতিরিক্ত টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট চেয়েছিলাম কিন্ত তারা দিতে রাজী না হয়নি। অপরদিকে শিক্ষকরা যে পকেটে থেকে দেবে সে সামর্থ তাদের নেই কেননা তারা কেউ বেতন পাননা।
এ ব্যপারে মাদরাসার ধনকুন্ডি দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ আব্দুস সামাদ জানান, কেন্দ্র খরচ চালানোর জন্য সামান্য কিছু বেশি টাকার কথা বলেছিলাম।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।