শেরপুরে বোরো বীজতলার চারা মরে যাচ্ছে


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি.


শেরপুরে প্রচন্ড শীত (কোল্ড ইনজুরি) ও নানামুখী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বোরো বীজতলার চারাগুলো মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষক। তারা বীজতলার চারা বাঁচাতে কৃষি অফিসের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ব্যবহার করে ব্যর্থ হওয়ায় এই মৌসুমে বোরো বীজের চারা সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছেন কৃষকরা।

    bdr

    সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, একটানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ‘কোন্ড ইনজুরি’র পাশাপাশি নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরে খরের আকার ধারণ করছে। ফলে কৃষকরা তাদের বীজতলার চারা বাঁচাতে বিভিন্ন কিটনাশকের দোকানে গিয়ে নানা পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক কিনে চারায় প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছেনা। ফলে তারা আবার দৌড়াচ্ছেন কৃষি অফিসে সেখানে গিয়েও কৃষক নানা ধরণের পরামর্শ গ্রহন করেও কোন উপকার পাচ্ছেননা বলে জনিয়েছেন।

    আক্রান্ত বোরোর বীজতলার চারার যেন কোন ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে সজাগ রয়েছে কৃষি বিভাগ। গ্রামে ঘুরে ঘুরে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। প্রচন্ড ঠান্ডা, ঘনকুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে কৃষকদের বোরোর বীজতলা প্রথমে হলুদ বিবর্ণ রং ধারন করছে। এরপর আস্তে আস্তে চারা মরে খড়ের আকার ধারণ করছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি বিভাগ উঠোন বৈঠক করে বীজতলা রক্ষায় করণীয় জানিয়ে কৃষকদের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে বীজতলা রক্ষায় যেসব কাজ করতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো, সন্ধ্যায় পানি দিয়ে বীজতলা ডুবিয়ে দিতে হবে এবং সকালে পানি কেটে বের করে দিতে হবে, বীজতলায় ছাই দিতে হবে, মেনকোজেব গ্রুপের যে কোন ছত্রাক নাশক প্রতিলিটারে ২গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে, থিওভিট বা কমুলাস দিতে হবে এছাড়া সকালে বীজতলায় দড়ি টেনে চারার গায়ে লেগে থাকা কুয়াশা ফেলে দিতে হবে।

    কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এ বছর শেরপুর উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০শ হেক্টর জমিতে। আর বোরো বীজতলায় বীজ রোপিত হয়েছে ১২শ ৫৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর উপজেলায় দেশী জাতের বিআর ২৮, বিআর-২৯, বিআর-৫৯, বিআর-৬১, বিআর-৬২ ও মিনিকেট। এছাড়াও ইন্ডিয়ান জাত সুবললতা, কাজললতা সহ হাইব্রীড জাতের বিভিন্ন ধানের বীজ বপন করা হয়েছে।

    সাগরপুর গ্রামের আন্দারু, মাগুরগাড়ির কৃষক আফজাল হোসেন সহ একাধিক কৃষক জানান, ‘ঠান্ডায় বীজতলায় মরক দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বীজতলার চারা মরে গেছে। মনে হয় এবার চারার সংকট দেখা দেবে। তারা জানান বিশেষ করে সুবললতা ধানের চারায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। তবে কাটারীভোগ, কাজললতা সহ অন্যান্য জাতের ধানের বীজতলায় এই রোগের আক্রমন দেখা গেছে।

    শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান বলেন, কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেলেও এখনো বীজতলা নষ্টের পর্যায়ে যায়নি। বীজতলার চারা ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে কৃষি বিভাগ থেকে নানা প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যে পরিমান ক্ষতি হয়েছিল তার অনেকটার রিকভারি হয়েছে। তবে ইন্ডিয়ান জাতের বীজের চারায় এই রোগের আক্রমনটা বেশি। তিনি আরো বলেন দেশি জাতের ধানের চাষ করতে হবে কৃষকদের। তাহলে রোগ বালাই কম হবে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ