শেরপুরে মহাসড়কে অবাধে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি.



    বগুড়ার শেরপুরে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দিবা-রাত্রি মহাসড়কে চলাচল করছে তিন চাকার সবুজ সিএনজি অটোরিক্সা। মহাসড়কের ওপরে সিএনজি স্ট্যান্ড ঠিক রাখতে প্রশাসনের সাথে তাদের গোপন চুক্তির অভিযোগ উঠেছে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওপরে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজির স্ট্যান্ড। সেখান থেকে যাত্রী উঠানামা সহ রুট পরিচালনা করা হচ্ছে দিবারাত্রী। ওদিকে মহাসড়কে সিএনজি চালাতে গিয়ে গত ৭জুন মারা গেছে শেরপুরের চাঁন মিয়া নামের একজন সিএনজি চালক।

    সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার জেলার দক্ষিন সীমান্তে অবস্থিত ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক। মহাসড়কের উত্তরে বগুড়া জেলা শহর থেকে দক্ষিনে চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০কিলোমিটার মহাসড়কে এরকম অনিয়ম চলছে বহুদিন আগে থেকে। মহাসড়কের ওপরে সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা সবুজ সিএনজি ও অটোরিক্সা সব সময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শেরপুরের বিভিন্ন সমিতি আর চাঁদা আদায়ের রশিদে চলা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সিএনজি গুলো স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে করছে ভারি। ফলে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কের ওপরে বসানো হয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড। এসকল সিএনজি চালকদের কাছ থেকে দৈনিক চেনচাঁদার নামে আদায়কৃত হাজার হাজার টাকা রাতের আধারে হয় ভাগ বাটোয়ারা। আর এ কাজের দায়িত্বে আছেন স্থানীয় কতিপয় নেতৃবৃন্দ। গত ২৯ মে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসে পরিষদের আইন-শৃংখলা কমিটির বিশেষ সভার এক পত্রের স্বারক নং-০৫.৫০.১০৮৮. ০০০.১০.০০৫.১৭.৭৯৬(৩০) সিদ্ধান্তের আলোকে শেরপুর পৌরশহর সহ উপজেলায় সকল রাস্তায় ফুটপাত অবৈধ দখল এবং প্রভাবশালী দখল বাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর শেরপুর পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ মহাসড়কে সিএনজি চলাচল অবৈধ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং শেরপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। যার ফলে প্রভাবশালী রাঘব বোয়ালরা আছে এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে।

    মহাসড়কের ওপরে চলাচলকৃত অবৈধ সবুজ সিএনজি ও অটোরিক্সা সহ সকল প্রকার নিষিদ্ধ যানবাহন অবাধে চলাচল করলেও যেন দেখার কেউ নেই। এব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টার মো.আনোয়ার হোসেন জানায়, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কোন সিএনজি মহাসড়কে চলাচল করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও মহাসড়কের ওপরে কোন সিএনজি ষ্ট্যান্ড থাকবে না। একই মন্তব্য শেরপুর হাইওয়ে ট্রাফিক এর টিএসআই ইলিয়াস হোসেনের।

    শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের জমানো অবৈধ দখলবাজ সমস্যা এটা। আমরা একটা মাত্র অভিযান পরিচালনা করেছি। থানার ওসি সাহেবকে বলেছি এটা চলমান প্রক্রিয়া তাই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। শেরপুর থানার ওসি খান মো.এরফান জানান, হাইওয়ে রোডের ওপরে কোন সিএনজি চলাচল করতে দেয়া হবে না। মহাসড়কের ওপরে কোন সিএনজি স্ট্যান্ড ও ফুটপাতে দোকান থাকবে না। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, এটা অব্যাহত থাকবে। শেরপুর সিএনজি অটোরিক্সা মালিক কমিটির আহবায়ক মো.কামাল হোসেন জানায়, আমরা সরকারি নির্দেশ মোতাবেক হাইওয়ে রোডে চলতে চাই না। এজন্য দরকার শহরতলীর দক্ষিনে শেরুয়া বটতলা থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ২ কিলেমিটার বিকল্প রাস্তা। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবী।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ