শেরপুরে সড়কের সরকারি গাছ কেটে নিলো আওয়ামীলীগ নেতা

আবু জাহের, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি.



বগুড়ার শেরপুরের উলিপুর-ঝাঁজর সড়কের চামড়াগাড়ী এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই যুগ পুরানো সরকারী শিশু গাছ কেটে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম হানু’র বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় দাপটে সরকারী গাছ কেটে নেয়ায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার শেরপুর শহরের উলিপুর-ঝাঁজর সড়কের ১০ কিলোমিটার সড়কে প্রায় ২যুগ আগে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগায় তৎকালীন বনবিভাগ। ওই সড়কে খামারকান্দি’র গ্রামের পূর্বে ঝাঁজর গ্রামের পশ্চিমে চামড়াগাড়ী রাখালভিটা নামকস্থানে একই গ্রামের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও খামারকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম হানু’র গভীর নলকুপ রয়েছে। নলকুপের দক্ষিণ পাশের সড়কের প্রায় ২যুগ পুরানো ১টি শিশু গাছ ২জন দিনমজুর আনোয়ার ও সোনাউল্লাহ কে ৮’শ টাকা মজুরী দিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে কেটে নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী কাছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে খড়িগুলো বাড়িতে নিয়ে যায় ওই প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

এদিকে ওই গাছ ক্রয় করে গাছের ১২টি গুল্ম গুলো ট্রলি যোগে নিয়ে গিয়ে একই ইউনিয়নের পারভবানীপুর আমতলা বাজারের জনৈক ইয়াছিন আলী’র ছ’মিলে ভাংগানোর জন্য জমা রাখে বলে স্বীকার করেছে ঝাঁজর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে কাঠব্যবসায়ী।
কাঠব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বলেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান হানু ভাই আমার কাছে শিশু গাছ বিক্রয় করেছে আমি কিনেছি। তবে কতমুল্যে গাছ ক্রয় করেছেন প্রশ্নে এড়িয়ে যান তিনি।
এ ব্যাপারে ওই ছ’ মিলের মালিক ইয়াছিন বলেন, আমার মিলে কাঠ ব্যবসায়ী আইয়ুব মোবাইল ফোনে পাঠানো গাছের গুড়ি গুলো রাখতে বলায় আমি রেখেছি। তবে ওই গাছের গুড়ি গুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার অধিক বিক্রয় হবে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, গাছ কাটার কথা জেনেছি, তবে কোথায় এবং কত টাকায় বিক্রয় করেছে জানিনা।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়নাল হক বলেন, ওই সড়কের গাছ যদি বন বিভাগের হয়। তাহলে দেখে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ওই প্রাক্তন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম হানু’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাড়িতে রান্না করার খড়ি না থাকায় রাস্তার শুকনো ওই গাছ কেটেছি । তবে বিক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন ওই আওয়ামীলীগ নেতা।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ