আশি বছরের মোকছেদ আলী। বয়সের ছাপের সাথে অপুষ্টি আর অবহেলার কারণে শরীরটা নুয়ে পড়েছে অনেকখানি। বসে থাকলে মাথা তুলে কথা বলতেই তার রাজ্যের কষ্ট। যে সংসারের জন্যে একসময় তিনি খেটেছেন নিরন্তর সেই সংসারে এই বৃদ্ধ বয়সে তার ঠাঁই হয়নি। সোনামুখী গ্রামের মোকছেদ আলীর সংসারের স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে দোলন ট্রাকে করে মাটির ব্যবসা করেন। একজন ঢাকায় চাকুরি করেন। অন্যরা বাড়িতেই থাকেন। এই সংসারে অন্তত দুমুঠো ভাতের অভাব হবার কথা নয় মোকছেদ আলীর। কিন্তু তার ঠাঁই হয়েছে সিএনজি স্টেশনের এক ঘরের বারান্দায়।
সোমবার দুপুরে তাকে সংসারের কথা জিজ্ঞেস করতেই তার দুচোখ বেয়ে জল পড়তে তাকে। স্পষ্ট করে কথাও বলার শক্তি হারিয়েছেন মোকছেদ। ইশারায় আর কিছু কথায় তিনি বোঝালেন, বাড়ি থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। অসুখে জোটেনা ওষুধ। অনেক আগে থেকেই তার সাথে পরিবারের সবাই এমন আচরণ করে।
এসময় ওই গ্রামের শাহ আলম জানান, কয়েকদিন আগেই তাকে ধরে বাড়িতে রাখতে গিয়েছিল কয়েকজন সিএনজি ড্রাইভার। তাদের সাথে মোকছেদের স্ত্রী খারাপ আচরণ করেছেন। এসময় তিনি গ্রহণ করতে চাননি মোকছেদ আলীকে। অবশেষে গত চারদিন যাবৎ মোকছেদ আলীর আবারো ঠাঁই হয়েছে সিএনজি স্টেশনে।
ওই স্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার এন্তাজ আলী জানান, ‘ ওই পরিবারের সবাই অন্যরকম লোক। যে কথা বলতে যায় তাকেই নানাভাবে মামলায় জড়িয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মোকছেদের স্ত্রী কমপক্ষে কয়েক ডজন করে মামলা প্রতিবেশি ও গ্রামবাসিদের নামে করেছেন।
এদিকে মোকছেদের ঠাঁই নেয়া ঘরের মালিক শাহা আলম জানান, এভাবে কখন যে সে মারা যাবে তখন আমি ঝামেলায় পড়ে যাবো। তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি. সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ছালাভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদি হাসান (বিপ্লব মাস্টার) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজেউন)। তিনি…