
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে আটক যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান শেষ হয়েছে। এ সময় একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়া গেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান শেষ করে র্যাব।
এদিকে বন অধিদফতরে পরিদর্শক আবদুল্লাহ আস-সাদিক বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণ আইন-বহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য। এ আইনের ৩৪ এর ‘খ’ ধারা অনুযায়ী শাস্তি সর্বোচ্চ ছয় মাস ও এক লাখ টাকা জরিমানা।
আটক সম্রাটের কার্যালয় থেকে দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ায় বন অধিদফতরের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব।
এদিকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

