সাগর উত্তাল, প্রবল বেগে বইছে ঝড়ো বাতাস

 

নিউজ ডেস্ক.


সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজার উপকূলে প্রচণ্ড দমকা হাওয়া ও ভারী বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া আকারে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে লঘুচাপের কারণে সাগরে পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আশঙকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কক্সবাজার উপকূলের কুতুবদিয়া, শাহপরীর দ্বীপ, সদরের গোমতালীসহ বেশ কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। তবে এখনো জেলার কোথাও বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। অন্যান্য তিনটি সমুদ্র বন্দরের মতো কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরেও তিন নং সতর্ক সংকেত বলবৎ রেখেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

১নং পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল জানান, আমার এলাকার প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি এখন পানির নিচে। নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে এখন সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জোয়ারের সময় প্রচণ্ড বাতাসের কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাগরের জোয়ারের পানিতে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার রাতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ইউনিয়নের কাক পাড়া, ডলইন্যা পাড়া ও কালার পাড়া গ্রামে সাগরের পানি প্রবেশ করতে থাকে। গ্রামের বাসিন্দারা রাতেই অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছেন।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, কাক পাড়া এলাকার বদি আলম সওদাগরের বাড়ী হতে মোজাফফ আহমদের বাড়ী পর্যন্ত আনুমানিক ৬ চেইন বেড়িবাঁধ ভেঙে এ প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ