Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি.
শেষ মুহুর্তে নওগাঁর সাপাহারে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার বাজার। সদরের বিভিন্ন মার্কেটের শপিং মল থেকে শুরু করে ফুট পাতের দোকান গুলোতে তিল ধরনের ঠাঁই নেই। ঈদে চাই নতুন পোশাক। তাইতো সাধ আর সাধ্যের মধ্যে না থাকলেও প্রিয় জনের উপহার দিতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনা কাটায় ব্যাস্থ সময় পার করছে নিম্নবিত্তের মানুষও।
অপরদিকে ঈদ বেশি আনন্দ দেয় ছোটদের। শিশুদের সব খুশি যেন ঈদের পোশাক ঘিরে। তাই ঈদের কেনাকাটায় তাদের আবদারেরও শেষ নেই। ঈদের পোশাক ঘিরে শিশুদের থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। নিজেদের পোশাক নিয়ে উদাসীন থাকলেও অভিভাবকরা সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি কিনে দিতে চান সন্তানকে। ঈদের অনেক আগেই শিশুদের কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান অভিভাবকরা। এবার মেয়ে শিশুদের জন্য ঘের দেওয়া লম্বা কামিজ যেমন চলছে, তেমনি ছেলে শিশুদের পাঞ্জাবিতে লাইন কাটের ব্যবহার বেশি। তাই ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে শিশুদের ঈদ বাজার।
রবিবার সদরের লাবনী সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, চৌধুরী প্লাজা, জনতা মার্কেট সহ ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মার্কেট গুলোর এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব মার্কেটের দোকানগুলোতে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের নানা রঙ-বেরঙের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। অভিজাত শপিংমলগুলোতে শোভা পাচ্ছে ছোট্ট শিশুদের রঙ-বেরঙের পোশাক। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা ক্রয় করছেন এসব পোশাক।
এদিকে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সাপাহার বাজারের বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে ভারতীয় পোষাকে ছেয়ে গেছে। তবে এসব মার্কেটে মানসম্মত দেশীয় পোশাক সামগ্রী থাকলেও ক্রেতা সাধারনের চাহিদা ভারতীয় পোশাকের প্রতি একটু বেশী। এবার ঈদে মেয়েদের জন্য আকর্ষণীয় পোশাকের মধ্যে রয়েছে বাহুবলি টু, রাখিবন্ধন, পটল কুমার, বজরাঙ্গি ভাইজাং, ফ্লোর টার্চ, লাসা, লং স্কট, শর্ট স্কটসহ বিভিন্ন নামের থ্রি-পিস ও ফোর পিস পোশাক। তবে দেশী অনেক পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। আকৃষ্ট করেছে দেশীয় পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানী, খদ্দর, মনীপুরী, রাজগুরু, বালুচুরী, জর্জেট শাড়ি ইত্যাদি।
গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। অবশ্য নিম্নবিত্তদের কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে ফুটপাতে বেশ কয়েকটি পোশাকের দোকান দিয়েছে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা। বড় বড় মার্কেটের চেয়ে এই সব মার্কেটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। তাছাড়া জুতার দোকানেও ভিড়ের কমতি নেই, বেড়েছে কসমেটিকসের বেচা কেনাও। বড়দের সাথে পাল্লা দিয়ে পছন্দের জুতা, স্যান্ডেল, প্যান্ট, জামা কিনছে শিশুরা। সব ধরনের ক্রেতাদের চাপে দোকানীদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই বললে চলে।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, পবিত্র ইদ-উল-আযহা উপলক্ষে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।