হাতীবান্ধায় এমপি’র নাম ভেঙ্গে পাথর উত্তোলন !

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট থেকে.

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের বেশ কিছু পরিবার বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পরে। সেকারনেই স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে বলে নিজ উদ্যোগে বাঁধ নিমার্ণের জন্য দুইটি শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু’র সাথে যদি পাথর পাওয়া যায় তাহলে ওই পাথর বিক্রি করে স্থানীয় মোতাহার হোসেন কলেজের উন্নয়ন মুলক কাজ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি। ওই সভা’র প্রাথমিক অনুমতি নিয়েই বাঁধ নিমার্ণের জন্য বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে বালু বা পাথর উত্তোলন অবৈধ এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, এলাকার ও কলেজের উন্নয়নে নিজ উদ্যোগে এমন কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে লেখা-লেখি না করলেই ভালো হয়।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ছোট জামাতা আবু সায়েম ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক সুলতান আহেম্মদ রাজনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছেন। সেই পাথর গুলো স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মিলনবাজার চাতালে রাখা হচ্ছে। বাঁধের কোলঘেসে পাথর উত্তোলন করায় ওই বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে।
বালু উত্তোলন করায় চলতি বর্ষা মৌসূমে বাঁধটি ধসে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। এ সময় আবু সায়েম বলেন, পাথর উত্তোলন নিয়ে হাতীবান্ধা এ্যাসিল্যান্ড আজিজুর রহমানের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা একটু ব্যবসা করতে চাই।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, আমি বা এমপি স্যার কেউই মেশিনের মাধ্যমে বালু বা পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেয়নি। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি পাথর বা বালু উত্তোলন করে থাকে, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ