
আব্দুল মোত্তালিব। ২২ বছর বয়সেও যাকে চলতে হয় মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে। না দেখলে বোঝা যায় না তার কষ্টটা। উঠে দাঁড়াতে পারে না, পারেনা হাঁটতেও। মোত্তালিবের বাড়ি বগুড়ার ধুনটের কামারপাড়া খাদুলী গ্রামে। তার বাবা আব্দুল বারিক হোটেল শ্রমিক। মা নুরভানু গৃহিনী।
আব্দুল মোত্তালিব স্থান পরিবর্তন করে গড়াগড়ি দিয়ে। এতে তার খুবই কষ্ট হয়। চলাচলের ভরসা মায়ের কোল। তার জন্য দরকার একটু সহযোগীতা, সহমর্মিতা। প্রয়োজন হুইল চেয়ার।
হোটেলের কাজ শেষে যতটুকু সময় পান দরিদ্র বাবা আব্দুল বারিক, আর সংসার সামলিয়ে মা নুরভানু ব্যস্ত থাকেন ছেলেকে নিয়ে। তাদের সহায় সম্বল বলতে ৫ শতক বসতভিটা। বাবার সামান্য আয় দিয়ে কোনমতে চলে সংসার।
মোত্তালিবের জন্মই যেন আজন্ম পাপ। জন্ম স্বাভাবিক হলেও, ছয় মাস বয়সে অজানা রোগে হয়েছে বহুমত্রিক প্রতিবন্ধী। বর্তমান তার বয়স ২২ বছর।
প্রতিবন্ধী মোত্তালিবের মা মোছঃ নুরভানু খাতুন ধুনট বার্তাকে বলেন, সেই আতুর ঘর থেকে ছেলের সব কাজ করতে হয়। কিন্তু এখন তার আর শরীরে কুলায় না। ছেলেটার জন্য একটা হুইল চেয়ার পাওয়া গেলে কিছুটা মুক্তি পেতাম।
প্রতিবন্ধী মোত্তালিবের বাবা মোঃ আব্দুল বারিক ধুনট বার্তাকে বলেন, অভাবের সংসারে ছেলের জন্য বাড়তি কিছু করাটাই কঠিন। টাকার অভাবে হুইল চেয়ার কিনে দিতে পারছিনা ছেলেকে। তিনি বলেন, অসংখ্য ডাক্তার কবিরাজের চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ্য করতে পারিনি। আমার সাধ্য থাকলে ছেলেটার জন্য কারো সহযোগীতা নেওয়ার প্রয়োজন হতো না।
মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিক ধুনট বার্তাকে বলেন, আব্দুল মোত্তালিবের এমন অবস্থা আমার জানা ছিলো না। তার জন্য সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করবো।



