Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
ক্রীড়া ডেস্ক.
পচেফস্ট্রুম টেস্টের শেষ দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
শেষ দিনে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেড় ঘণ্টায় গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৩৫ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে মাত্র ৯০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান। ২০০৩ সালে ঢাকায় ১০২ ছিল আগের সর্বনিম্ন।
ড্র করার লক্ষ্য নিয়েই পচেফস্ট্রুমে ৫ঞ্চম দিনটা শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের দুই উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করে সফরকারীরা। শেষ দিনে প্রোটিয়া পেসারদের সামনে টিকে থাকাটাই ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জানানোর মিশনে শুরুতেই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। দিনের শুরুতেই কাগিসো রাবাদার বলে আউট হয়ে ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এরপর একে একে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাসকেও ফেরান এই প্রোটিয়া পেসার। বাকি চার ব্যাটসম্যান মিলেও হারের ব্যবধানটা খুব একটা কমাতে পারেননি।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ইমরুল কায়েস। এ ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ১৬ রান করেন। বাকি সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে কেশব মহারাজ চারটি উইকেট নেন। এ ছাড়া কাগিসো রাবাদা নেন তিনটি উইকেট। বাকি দুটি উইকেট নেন মরনে মরকেল।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের লিডটা ৪২৩ রানের। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৪২৪ রান। তৃতীয় দিনের দুই উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে শুরু করে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস।
বিশাল রানের পেছনে তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তামিম ইকবালের স্টাম্প উপড়ে দেন মরনে মরকেল। দুই বলের ব্যবধানে মুমিনুলকেও ফিরিয়ে দেন এই পেসার। মুমিনুলকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, আউট ছিলেন না এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বলটা স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে বের হয়ে যেত। রিভিউ নিলে নিশ্চিতভাবে বেঁচে যেতেন তিনি। রিভিউ নিয়ে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে পরামর্শ করেন মুমিনুল। তবে ইমরুল কায়েস তাঁকে রিভিউ নিতে নিষেধ করেন।
এরপর ৪৯ রানে জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মুশফিক। তবে চা বিরতির ঠিক আগে কেশব মহারাজের বল ইমরুলের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা হয়। ৩২ রান করেন ইমরুল। এরপরই চা বিরতিতে যায় দুই দল। পচেফস্ট্রুমের আকাশ কালো করে তখনই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর শেষ সেশনের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে ৩২০ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।