কারিমুল হাসান লিখন.
পল্লী গ্রামের মানুষ যুগ যুগ ধরে গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ধান খড়। বছরে ২বার ধান কাটার মৌসুমে গ্রামের গারস্থ্য কৃষকের ঘড়ে ধানের পাশাপাশি খড়টাও যত্ন সহকারে রাখা হয় গরুর খাদ্য হিসেবে। এ খড় গো খাদ্য ছাড়াও গ্রাম্য মহিলারা রান্নার কাজে জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করে আসছে দির্ঘদিন থেকে। ধান চাষের শুরু থেকে গো খাদ্য ও জ্বালানী হিসেবে খড়ের বাজার চাহিদা অন্যান্য নিত্যপন্যের চাহিদার চেয়ে কোন অংশে কম ছিলোনা।
তবে বাজার মুল্য ছিলো সিমিত যা বিক্রি করা না করারই সমান। দেশের কিছু কিছু এলাকায় ধান উৎপাদন কম হওয়ায় দিন দিন খড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুদিন আগেও খড়ের স্তুপ বিক্রি হতো নির্দ্দিষ্ট একটি দামে ধারনার উপর ভিত্তি করে।
বর্তমান সময়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার কিছূ কিছু এলাকায় খড়ের পাইকারগন ১৪০০-১৭০০ টাকা মন হিসেবে গড়ে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে খড় ক্রয় করছে। যা অতিতের তুলনায় আশ্চার্যের এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে অতিতে একটি ১৫ বিঘা ধানী জমির বড় খড়ের পালা বিক্রি হতো ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা সেখানে কিছুদিন আগেও ২ বিঘা ধানী জমির ছোট পালা বিক্রি হয়েছে ৩০০০ টাকা করে।
বর্তমানে ধারনার উপর খড় ক্রয় বিক্রয় না হয়ে, বাহির থেকে পাইকাররা এসে গড়ে ৪০ টাকা দরে ১৩০০-১৭০০ টাকা মন হিসেবে খড় ক্রয় করছে। ধুনটে বর্তমান সময়ে ধান চাষের উৎপাদন কম ও বন্যা কবলিত হওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকটের কারনেই ক্রেতারা কেজি দরে খড় ক্রয় করার চেষ্টা করছে বলে অনেকে ধারনা করছে। খড়ের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে গরু খামারীরা। খড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বর্তমানে ঘাসেরও দাম হয়েছে আকাশ ছোঁয়া।
উন্নতজাতের পুষ্ঠি সমৃদ্ধ ইপিলিপি ঘাস ধুনটের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চরা দামে। প্রতি আঁটি ঘাসের মুল্য ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ঘাস বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হলেও ক্রেতারা লোকসানে পরছে অনেকাংশে। এক মাস আগেও ঘাসের মুল্য ছিলো প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা। অন্যদিকে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারনে গো খাদ্যে বিশেষ উপাদান খুদ এর দামও বৃদ্ধির দিকে। ভূষির দাম স্বাভাবিক থাকলেও ান্যাণ্র পন্যের দাম বৃদ্ধির কারনে গরু লাল পালনে হিমশিম খাচ্ছে গরু পালনকারী গারস্থ্যসহ খামারিরা।
মধ্যবিত্ত পরিবারে গরু লালন পালন করা বর্তমান সময়ে কষ্টকর হয়ে পরেছে।
বার্তাটির পাঠক সংখ্যা :
177