Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া ঠিক করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের জন্য মিয়ানমারকে আজ একটি চুক্তির খসড়া দিয়েছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, সন্ত্রাসের ব্যাপারে আমরা সব সময় জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আসছি। নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল খুব শিগগির মিয়ানমারে যাবেন।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কবে হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন তো বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছি। একটা আলোচনায় তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে না। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের বিষয়ে আশাবাদী।
যাদের রোহিঙ্গা হিসেবে আগে থেকে শনাক্ত করা আছে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘চুক্তিটা আগে হোক, তার পর বিষয়টি ঠিক করা হবে।’
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ আলোচনা ৫ দফা সম্পর্কিত নয়। আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।’
মিয়ানমার সময়ক্ষেপণ করছে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনার আগেই যদি নাকচ করে দেন, তবে আলোচনা হবে না। অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আশাবাদী।’ আনান কমিশনের রিপোর্টের বিষয়টি আলোচনায় তোলা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছেন কিউ টিন্ট সোয়ে। আজ রাতেই তিনি মিয়ানমারে ফিরে যাবেন।
গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া নির্যাতনের জের ধরে ৫ লাখ এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী। রোহিঙ্গাদের ওপর চলা নির্যাতনে নিন্দা জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গত বৃহস্পতিবার এ সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।