Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
নিউজ ডেস্ক.
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত। এ কারণে তিনি এক মাসের ছুটিতে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির চিঠিটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে আসার পর আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির ছুটি অনুমোদনের কোনো বিষয় নেই।’
অসুস্থতাজনিত কারণে সোমবার এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর পর রাতে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, যারা প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গণতন্ত্র ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের জাল বুনছিল, তারাই তার ছুটিতে যাওয়ার বিষয় নিয়ে চিৎকার করছে। তাদের ষড়যন্ত্র ব্যহত হয়েছে। মানুষ অসুস্থ হতে পারেন না? এমন তো কোনো কথা নেই। যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারে।
সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি ছুটির আবেদন করেন। দিবাগত রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। তিনি আজ সকাল থেকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
দুপুরে আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত থাকবেন।
এত তড়িঘড়ির সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়টি অনুমোদনের ব্যাপার নয়। তিনি যেকোনো সময় ছুটি নিতে পারেন। এ নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা এই অভিযোগ করছেন, তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো চাপ ছিল না।’
‘সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন’ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ কারণেই প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে যান। আর রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের বিষয়টির প্রজ্ঞাপন জারির অনুমোদন করেন।’