নাটোরে অর্ধশত আইসিটি শিক্ষকের মানবেতর জীবন

নিউজ ডেস্ক.

বেতন ছাড়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির যাঁতাকলে পড়েছেন দেশের ১ হাজার ৭শ ৩০ জন আইসিটি শিক্ষক। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের প্রায় ৬ বছরেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি এসব শিক্ষকদের। আইসিটি শিক্ষক হওয়া স্বত্বেও দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে তাদের কাটাতে হচ্ছে এ্যানালগ জীবন যেখানে না পাড়ছেন চাকুরি ছাড়তে- না পারছেন বেতন ভাতা পেয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে। দেশব্যাপী দীর্ঘ আন্দোলন আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস পাওয়ার পরও দীর্ঘ প্রায় ৬ বছরেও মেলেনি বেতন। মাস শেষে অন্যান্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কম্পিউটারের ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখালেও সং¬িশ্লষ্ট আইসিটি শিক্ষকের বেতন হয়নি আজও। পরিবারের শিশু-সন্তানসহ অন্যান্য সদস্যদের মুখে হাসি ফোটানোর আন্তরিক চেষ্টা থাকলেও বেতন না পাওয়ায় বুকের মধ্যে তীব্র যন্ত্রণা আর ক্ষোভ নিয়ে দিনাতিপাত করছেন আইসিটি শিক্ষকরা। সিংড়া উপজেলার বৃষ্ণপুর ইটালী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক মশিউর রহমান জানান, তার পরিবারের ৭ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি ৫ নম্বর। ২০০৫ সালে তিনি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে এমএ পাশ করার পর ২০১২ সালের শেষের দিকে তিনি নিয়োগ পান। পরিবারের শিক্ষিত ছেলে হিসেবে তার ওপর অন্য সকল সদস্যরাই বিভিন্ন আশা করে থাকেন কিন্তু বেতন না পাওয়ায় তিনি তার পরিবারের বড় ও ছোটদের কাছে প্রত্যাশিত আদর বা শ্রদ্ধার পরিবর্তে তিরস্কারের পাত্র হয়েছেন। এমনকি তার স্ত্রী ও ৬ বছর বয়সের একমাত্র ছেলে সোয়াইর মাঝে মাঝে কিছু আবদার করলেও তিনি তা রক্ষা করতে পারেন না। স্ত্রীর কাছে স্বামীর বা ছেলের কাছে বাবার সামান্য দাবী পূরণ করতে না পারার অসামর্থ কি যে কষ্টের তা তিনি ক্ষণে ক্ষণে উপলব্ধি করছেন। একজন অশিক্ষিত দিন মজুরও দিন শেষে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি দেখতে পায় অথচ এমএ পাশ করার পরও বেতন না হওয়ায় তিনি সেই দিন মজুরের সমান সম্মানও পান না বলে দাবী করেন তিনি।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ