বাংলাদেশ নেভিকে যুদ্ধের মহড়া শেখাবে মার্কিন নৌবাহিনী


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


সমুদ্রে কৌশলগত ভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ এই মহড়ায় অংশ নেবে।

    জানা গেছে, এই যৌথ মহড়ায় বিভিন্ন নৌ-কৌশল, সমুদ্রে অনুসন্ধান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, উদ্ধার অভিযান এবং সমর আইনের ব্যবহার নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ হবে। তবে বাংলাদেশের অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন, এটি শুধুই একটি মহড়া নয়। এর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কৌশলগত উদ্দেশ্য রয়েছে।

    বিশ্লেষকদের ধারণা, সামরিকভাবে সমুদ্রে চিন ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়ায় তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সেজন্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশল বাড়াতে চায়। সেজন্য বঙ্গোপসাগর তাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।এই মহড়ার সঙ্গে চিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কোন সম্পর্ক আছে কিনা, এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বঙ্গোপসাগর কৌশলগত ভাবে সমসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, বঙ্গোপসাগর দিয়ে বাণিজ্যের সুবিধা, নৌ-চলাচল, এবং নিরাপদ সামুদ্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়ার সঙ্গে চিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কোন সম্পর্ক নেই, কারণ এটি গত পাঁচ বছরে ধরেই চলছে।

    অন্যদিকে, বেশ কয়েক বছর আগে আমেরিকা ঘোষণা করেছিল, তারা তাদের সামরিক কৌশলে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যার অংশ হিসাবে ২০২০ সালের মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীর ৬০ শতাংশ ফ্লিট এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। মার্কিন নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ