নিউজ ডেস্ক.
ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার দুটি ধারায় এ আদেশ দেয়া হয়।
২৬ (২) ধারায় তথ্য গোপনের অভিযোগ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা; ২৭ (১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড। এ ছাড়া ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপি মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন প্রায় ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে মো. মসিউর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যশোরের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
যশোর স্পেশাল জজ আাদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করা হলো।


 
			 
			 
			