ছয়মাস আগে জোড়া খুনের পরিকল্পনা হয় রাঙামাটিতে


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


তরকারি বিক্রেতা থেকে প্রযোজক বনে যাওয়া আবদুল করিম তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তাকে নিয়ে ছয়মাস আগে রাঙামাটি ঘুরতে যান। সেখানেই প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিমকে খুন করার পরিকল্পনা করেন তিনি। হত্যার জন্য মুক্তার ভাই আল আমিন ওরফে জনিকে প্রস্তাব দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে করিম ও মুক্তা’র কাছ থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে।

    এদিকে মূল হত্যাকারী সন্দেহে জনিকে শনিবার ভোররাতে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান।

    জানা গেছে, কাকরাইলে আবদুল করিমের দুইটি বাড়ির মধ্যে একটি ছিল শামসুন্নাহারের নামে। ওই বাড়িটির দিকে নজর ছিল তৃতীয় স্ত্রী মুক্তার। বাড়িটি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করাতে বারবার করিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন মুক্তা। এছাড়া করিমের বেপরোয়া জীবন যাপনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শামসুন্নাহার। এসব কারণে শামসুন্নাহারকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। এদিকে জনি ছিলেন বেকার। নানা কারণে তার স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় জনির সন্তানকে দেখাশোনা করতেন তার বোন মুক্তা। জনির সামগ্রিক খরচও বহন করতেন তিনিই।এক পর্যায়ে বোনের আবদারে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে রাজি হয়ে যান জনি।

    ঘটনার দিন (১ অক্টোবর) বুধবার সন্ধ্যায় জনি একটি ছুরি নিয়ে কাকরাইলে আবদুল করিমের বাসায় প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে তিনি প্রথমে শামসুন্নাহারকে গলাকেটে হত্যা করেন। এসময় শামসুন্নাহারের ছোট ছেলে দেখে ফেলে এবং দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন জনি দৌঁড়ে গিয়ে সিঁড়িতে শাওনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

    এ বিষয়ে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, রিমান্ডে আসামিরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। রিমান্ড শেষেই এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।

    আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় আবদুল করিম (৫৬), তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা (২৫) এবং মুক্তার ভাই আল আমিন জনিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে। পরে ওই মামলায় রাতেই করিম ও মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরের দিন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ