Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
জয়পুরহাট প্রতিনিধি.
আক্কেলপুর উপজেলার কেসের মোড় থেকে হালির মোড় (বটতলি) পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের নিমার্ণ কাজ চলছে। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই সড়কের কালভার্ট ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কালভার্টটির নিমার্ণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১ হাজার ৫ শাত টাকা। কিন্তু ঠিকাদার ফরিদ হোসেন ওই কালভার্টে কোন রড না দিয়েই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করেছিলেন। এ কারণে কালভার্টটি ভেঙে গেছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদার ফরিদ হোসেন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কালভার্ট ভেঙে গেছে তাতে আপনার কি? আপনি নিজে তৈরি করে নেন।’
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম দাবি করেছেন, অফিসকে না জানিয়ে কালভার্ট ওই নির্মাণ করা হয়েছিল।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেসের মোড় থেকে হালির মোড়(বটতলি) নামে সড়কে ৫১ লক্ষ ৪৭ হাজার ২৩৪ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ করছেন জয়পুরহাটের ঠিকাদার ফরিদ হোসেন। কয়েক মাস পূর্বে সড়কটিতে নিন্মমানে ইট দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
সূত্র আরো জানায়, স্থানীয়রা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও ওই সব নিন্মমানের ইট অপসারণ করা হয়নি। সম্প্রতি ওই ঠিকাদার সড়কটির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে করেন। ওই সড়কের মাঝে দুই মাঠের পানি পারাপারের জন্য একটি ছোট কালভার্ট নিমার্ণ করেন। সেখানে কোন প্রকার রড না দিয়েই কালভার্টটির কাজ সম্পূর্ণ করেন। ভারি যানবাহন ওই কালভার্টের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তা ভেঙে যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীর নজরে আসলে কালভার্টটি পুনঃনিমার্ণের জন্য ওই ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ঠিকাদার ফরিদ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কালভার্ট ভেঙে গেছে তাতে আপনার কি, আপনি নিজে তৈরি করে নেন। ডিজাইন আমার পছন্দ না হওয়াই আমি নিজেই ভেঙে দিয়েছি। পরে পূর্ণ নিমার্ণ করা হবে।
কালভার্টে রড না থাকার ব্যাপারে বলেন,কালভার্টের মধ্যে রড ছিল না রড আমার পছন্দ হয়নি এবং আমার ইস্টিমিটের মধ্যে তা পরেনি। যার কারোনে আমি নিজেই ভেঙে দিয়েছি। নিন্মমানের ইট ছিল কিনা সেটা অফিস বুঝবে আপনার নাক গলানোর কারণ কি? খারাপ ইট থাকলে তো আর কাজ করতে দিত না।
উপজেলা প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, সড়কের কাজ ভাল হয়েছে। ঠিকাদার ফরিদ হোসেন আমাদেরকে না জানিয়ে কালভার্ট নিমার্ণ করেছিলেন এবং তা ভেঙে গেছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে ওই কালভার্টটি পুনঃনিমার্ণের জন্য। সেখানে অফিসের লোক উপস্থিত থাকবে।