কলেজছাত্র মোমিন হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


রাজধানীর ঢাকার কাফরুলের কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলায় ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনের যাবজ্জীবন সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

    আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল রায় ঘোষণা করেন।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও নির্মল কুমার দাস।

    ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়া।

    এর আগে গতকাল এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

    মতিঝিল থানার সাবেক ওসি একেএম রফিকুল ইসলাম এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। তিনি কারাবন্দি অবস্থায় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যান।

    নিম্ন আদালতে মৃত্যদণ্ড পাওয়া প্রধান আসামি ওসি রফিক মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া হাবিবুর রহমান তাজ, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, ঠোঁট উচা বাবু, আসিফুল হক জনি ও শরিফ উদ্দিন এ ৬ জনের দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।

    ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুন হন কলেজছাত্র মোমিন। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ওসি রফিককে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ২০০৭ সালের ১৩ মে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। এর বিরুদ্ধে বাদী নারাজি আবেদন দিলে ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। ডিবিও তদন্ত শেষে ওসি রফিককে বাদ দিয়ে ২০০৮ সালের ২ মার্চ অভিযোগপত্র দেয়।

    এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেওয়া এ তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওসি রফিকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ১১ নভেম্বর এ অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। এর পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ স্থানান্তর করা হয়। এ আদালতে ওসি রফিকের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি।

    এ আদালতেই বিচার শেষে ২০১১ সালের ২০ জুলাই রায় দেওয়া হয়। রায়ে ওসি রফিকসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসি অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি কারাগারে থাকা আসামিরা আপিল করেন। এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। ওসি রফিক মারা যাওয়ায় মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা এখন দুজন।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ