আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিকের ৩ মামলায় জামিন

নিউজ ডেস্ক.


রাজধানীর বিভিন্ন থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা অর্থপাচারের ৫ মামলার মধ্যে ৩ মামলায় আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন দেন।

৩ জনের কৌঁসুলি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ৫ মামলার মধ্যে গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। ফলে তাদের কারা মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই। এক মামলায় দিলদার জামিন পেলেও আরও দুই মামলা থাকায় তিনি এখন জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না।

পৃথক ৫ মামলায় জামিন চেয়ে আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না তা রুলে জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর গতকাল বুধবার ও আজ শুনানি নিয়ে আদালত ৩টি আবেদন নিষ্পত্তি করে জামিন মঞ্জুর করে এ রায় দেন। তবে দিলদার আহমেদের অপর দুটি আবেদন মুলতবি (স্যান্ড ওভার) রাখা হয়েছে।

আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো. মেহদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসূফ মাহমুদ মোর্শেদ।

বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের নাম সামনে আসে। ওই ঘটনায় করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।

এ মামলা চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টার অভিযোগ উঠলে অর্থের উৎস ডার্টি মানি কি না অথবা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অস্বচ্ছ কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দারা। আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৫টি মামলা হয়।

অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ