Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না,লালমনিরহাট প্রতিনিধি.
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া আমঝোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শফিকুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি রাখালের মৃত্যু হয়েছে। ওই সীমান্তের ৯০৫ নম্বর মেইন পিলারের নিকট কাঁটাতারের বেড়ার পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো দুই গরু ব্যবসায়ী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত দুই গরু ব্যবসায়ীদের ১ বাংলাদেশী অপর ১ জন ভারতীয় বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারের ভয়ে তারা আত্মগোপন করেছে।নিহত শফিকুল ইসলাম হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে। গরু আনতে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলেই শফিকুল ইসলাম নিহত হন।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার ভোরের দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া সীমান্তের ৯০৫ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাবপিলারের নিকট দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপারকারী রাখালদের সহযোগিতায় কয়েকজন বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী রাখাল অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে কোচবিহার-১০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পাগলীমারী ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই শফিকুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়। তবে শফিকুলের শরীরের কোথায় গুলি লেগেছে তা বিজিবি এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। বর্তমানে ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুলিতে আহত অপর দুই জন গরু ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
নাম না প্রকাশ শর্তে ওই সীমান্তের কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আহত দুই জন বিজিবি ও পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপন করেছে। তাদের মধ্যে ১ জন বাংলাদেশী ও ১ জন ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। তবে আহত ওই দুই জনের নাম জানা যায়নি।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় কড়াপ্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। মরদেহ দেখে এবং সবকিছু খোঁজখবর নিয়ে সাংবাদিকদের পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী-শ্রীরাপুর ইউনিয়নের মাষ্টারেরবাড়ী ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে এক বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ এবং অপর এক বাংলাদেশি পালিয়ে আসে। তাদেরকে আটক করে নির্যাতন করার সময় আজম আলী নামে ওই বাংলাদেশি পালিয়ে আসে। আব্দুল লতিফ নামে অপর বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।