আমরণ অনশনে নন-এমপিও শিক্ষকরা


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/dhunatbarta.net/public_html/wp-content/plugins/social-share-with-floating-bar/social-share-with-floating-bar.php on line 820

নিউজ ডেস্ক.


এমপিও ভুক্তির দাবিতে অনশন শুরু করছেন ননভুক্ত শিক্ষকরা। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ অনশন শুরু করেন।

    এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে একই জায়গায় শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

    অনশনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশবাসীর জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন শিক্ষকরা। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মানিগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা তহুরুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশবাসীর জন্য দোয়া করেন।

    দেশের সরকারস্বীকৃত সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন এসব শিক্ষক।

    নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি চলছে। গত শুক্রবার ফেডারেশনের নেতারা বৈঠক করে আজ থেকে অনশন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন।

    ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেছেন।

    গোলাম মাহমুদুন্নবী গতকাল জানান, তাদের একটাই দাবি, সেটা হলো সরকারস্বীকৃত ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করতে হবে।

    ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ২০১১ সাল থেকে সরকার শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে। তাই এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রাণ গেলেও তারা অনশন থেকে সরবেন না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান তারা। গতকাল পঞ্চম দিনেও অবস্থান কর্মসূচিতে কয়েক শ শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। আজ অনশনে যোগ দিতে বিভিন্ন স্থান থেকে এক হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ঢাকায় আসছেন।

    অবস্থানরত শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও একই নিয়মনীতিতে পরিচালিত হয়। একই শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম ও প্রশ্নপদ্ধতি অনুসরণ করে। শিক্ষার্থীরাও বোর্ড থেকে একই মানের সনদ অর্জন করে। অথচ বেতন পান না তাঁরা। যদিও দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে ২১ লাখ চাকরিজীবীর বেতন বেড়েছে।

    যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ দেওয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হয়। আর যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না। এগুলোকে সংক্ষেপে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হয়।

    বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী ৪ লাখের বেশি। এর বাইরে স্বীকৃতি পেলেও নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।
    শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেওয়ার আগে একটি লিখিত শর্তই থাকে, ভবিষ্যতে শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য কোনো ধরনের দাবিদাওয়া পেশ করতে পারবেন না। এমপিওভুক্তির জন্য ভবিষ্যতে আবেদন করা হবে না, মর্মে অঙ্গীকার করেই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেওয়া হয়। কিন্তু অনুমোদনের পরই শিক্ষকরা তাদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এতে মানবিক কারণেই সবাই শিক্ষকদের দাবিকে সমর্থন করেন।

    এতে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের বিষয় জড়িত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাজেটের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেনদরবার করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়। কিন্তু এখন শিক্ষকরা নতুন করে আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলনে কোনো ফল বয়ে আনবে বলে তিনি মনে করেন না।

    অনুমতি ব্যতিত কপি করা থেকে বিরত থাকুন। -ধুনট বার্তা কর্তৃপক্ষ